Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • লালু চান ছেলে মুখ্যমন্ত্রী, সোনিয়া চান ছেলে প্রধানমন্ত্রী— বিহারে বিস্ফোরক কটাক্ষ অমিত শাহের
নারী

লালু চান ছেলে মুখ্যমন্ত্রী, সোনিয়া চান ছেলে প্রধানমন্ত্রী— বিহারে বিস্ফোরক কটাক্ষ অমিত শাহের

amit shah
Email :2

বিহার ভোটের আগে ফের কড়া সুরে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার বিহারের দরভাঙ্গায় এক বিশাল নির্বাচনী সভা থেকে তিনি কটাক্ষ করেন, “লালু যাদব চান তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী হোক, আর সোনিয়া গান্ধী চান তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোক। কিন্তু আমি ওঁদের জানিয়ে দিতে চাই— দুটি পদই এখন খালি নেই।”

তিনি (Amit Shah) বলেন, বিজেপি তরুণ প্রার্থীদের সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কংগ্রেস ও আরজেডি নিজেদের পরিবারের বাইরে কাউকে সামনে আনেনি। “বিজেপি তরুণদের টিকিট দিয়েছে, কিন্তু ওদের পার্টিতে রাজনীতি মানেই পারিবারিক ব্যবসা,” কটাক্ষ শাহের।

অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে বলেন, “এই মহাগঠবন্ধন আসলে ঠগবন্ধন— চোরেদের জোট।” তাঁর অভিযোগ, “লালু যাদব পশুখাদ্য, বিটুমিন ও চাকরির বদলে জমির মতো একাধিক দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, আর কংগ্রেস করেছে ১২ লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি আরজেডি-কংগ্রেস জোট বিহারে ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই (PFI)-এর সদস্যরা জেলে থাকবে?” শাহর বক্তব্য, “ফুলওয়ারি শরিফে পিএফআই-এর নেটওয়ার্ক ধরা পড়েছিল। এনডিএ সরকারই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে এই সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দেবে।”

বেগুসরাইয়ে আরেক সভায় রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “ক’মাস আগে রাহুল এসেছিলেন ‘ভোটার অধিকারের যাত্রা’ শুরু করতে, কিন্তু ওটা আসলে ছিল ‘অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা যাত্রা’। ও আর তেজস্বী চান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম যেন ভোটার লিস্ট থেকে না মুছে যায়।”

তিনি (Amit Shah) আরও বলেন, “রাহুল আর লালু মিলে বিহারে ফের ‘জঙ্গল রাজ’ ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। কিন্তু এই ভোট সেই অন্ধকার রাজত্বের বিরুদ্ধে লড়াই।” তাঁর দাবি, “এনডিএ এখন পাণ্ডবদের মতো ঐক্যবদ্ধ পাঁচ দলের শক্তিশালী জোট। এই নির্বাচনে বিরোধী জোট সম্পূর্ণ ভেসে যাবে, এনডিএ রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে।”

অমিত শাহ (Amit Shah) অভিযোগ করেন, বিরোধী ‘ইন্ডিয়া ব্লক’ এখন বিহারের মহান নেতা কার্পুরি ঠাকুরের ‘জননায়ক’ উপাধিও কেড়ে নিতে চাইছে। তাঁর মন্তব্য, “মোদীজিই কার্পুরি ঠাকুরকে ভারতরত্ন দিয়েছেন। আজ ওরা সেই উপাধি কেড়ে নিতে চাইছে। যারা একদিন বাবু জগজিৎবন রামকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি, তারা এখন কার্পুরি ঠাকুরকেও অসম্মান করছে।”

শাহের বক্তব্যে আরও স্পষ্ট, বিজেপি এবার বিহারে ভোটকে কেন্দ্র করছে ‘জঙ্গল রাজ’-এর প্রত্যাবর্তন ঠেকানোর লড়াই হিসেবে। তাঁর অভিযোগ, “লালু যাদব বিহারের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেননি। কেবল নিজের পরিবারের রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছেন। এনডিএই বিহারের উন্নয়ন করেছে, মানুষের জীবনে আলো ফিরিয়েছে।”

দু’দফায় অনুষ্ঠিত হবে বিহার বিধানসভা নির্বাচন— ৬ ও ১১ নভেম্বর। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। শাহের ধারালো বক্তৃতায় নির্বাচনী আবহ আরও উষ্ণ হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts