উত্তরাখণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পাহাড়ি জেলায় নদী-ঝরনার জলে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা, ভেঙে পড়ছে সেতু, থমকে গেছে যাতায়াত (India-China route)। রবিবার ভোররাতে চামোলি জেলার তামক নালায় জোয়ারে ভেসে যায় জ্যোতির্মঠ-মালারির প্রধান সেতু। রাত দু’টো নাগাদ ভেঙে যাওয়া এই সেতুই ছিল ইন্দো-চীন সীমান্তের India-China route) একমাত্র সংযোগ পথ। ফলে পুরো নীতি ভ্যালির ডজনখানেক গ্রাম কার্যত যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তামক নালার ধ্বংসযজ্ঞে ভেসে গেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (BRO) একাংশের রাস্তাও India-China route)। যদিও এখনও কোনও মৃত্যুর খবর নেই, তবে ক্ষয়ক্ষতি বিপুল। নতুন করে সেতু নির্মাণ ও রাস্তা মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের।
এদিকে পরপর ভূমিধসে অচল হয়ে পড়েছে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক India-China route)। বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক ভেঙে গেছে ভানিরপানি ও পাগলানালা এলাকায়। কুন্ড-চামোলি জাতীয় সড়কও বাইরাগানা অঞ্চলে ধস নামায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কেদারনাথগামী যাত্রীরা আটকে পড়েছেন।
অন্যদিকে উত্তরকাশীতে যমুনোত্রীর যাত্রাপথও বিপর্যস্ত। শ্যানা ছট্টিতে যমুনার জল বিপজ্জনকভাবে সেতুর উপর দিয়ে বইছে। যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি রুদ্রপ্রয়াগ ও চামোলিতে। দেউয়াল ব্লকের মোপাটা গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একটি বাড়ি ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে নিখোঁজ দুই, আহত হয়েছেন দুইজন। একটি গরুর খোয়াড়ও ভেসে যায়, ১৫-২০টি গরু চাপা পড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা।
রুদ্রপ্রয়াগে আলকানন্দা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। ঘরবাড়ি প্লাবিত, বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। শহরের বিখ্যাত হনুমান মন্দিরও ডুবে গেছে নদীর জলে।
এখন পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন। লাগাতার বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে বাধা আসছে। রাস্তাঘাট ধ্বংস হওয়ায় বহু জায়গায় পৌঁছানোই যাচ্ছে না উদ্ধারকর্মীদের। সেনা, এনডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।