ওয়াকফ আইন (Waqf Act) কি ইসলামের অংশ? এই প্রশ্নে ফের মুখোমুখি কেন্দ্র ও একাধিক বিশিষ্ট আইনজীবী। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, “ওয়াকফ (Waqf Act) ইসলামের কোনও মৌলিক অংশ নয়, বরং এটি একটি ‘দানমূলক ধারণা'”। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে আদালতে নতুন মোড়—প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে ঘনীভূত বিতর্ক।
আজ, ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) বৈধতা ঘিরে শুনানিতে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “ওয়াকফ হল আল্লার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা সম্পত্তি। মৃত্যুর পর পুণ্যলাভের জন্যই এটি প্রতিষ্ঠিত।”
এই বক্তব্যের পরেই প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই পাল্টা বলেন, “হিন্দুদের যেমন মোক্ষের ধারণা আছে, ওয়াকফও তেমনই ইসলাম ধর্মের এক রূপ।” অন্য বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মন্তব্য করেন, “মৃত্যুর পর স্বর্গে যাওয়ার ধারণা তো খ্রিস্ট ধর্মেও আছে।”
অন্যদিকে, প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান বলেন, “বেদ অনুসারে মন্দিরও হিন্দু ধর্মের অঙ্গ নয়। সেখানে প্রকৃতি পূজার কথা বলা আছে। বৃষ্টি, অগ্নি ও জলের দেবতাও রয়েছে হিন্দু ধর্মে।” তিনি বোঝাতে চেয়েছেন—ধর্মীয় ধারণা সময় ও পরিবেশের সঙ্গে বিবর্তিত হয়। তবে কপিল সিব্বলের প্রশ্নেই যেন বিতর্কে ঘৃতাহুতি, “ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিম সদস্য কেন থাকবে? যেমন কোনও হিন্দু ধর্মস্থানে অ-হিন্দু রাখা হয় না, তেমনই এখানেও তা প্রশ্নসাপেক্ষ।”
প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “ওয়াকফ শুধু দান, ধর্মের অংশ নয়। এরকম ধারণা খ্রিস্টান, হিন্দু ও শিখ ধর্মেও রয়েছে।”
এই মন্তব্য ও পাল্টা সওয়াল ঘিরে ভারতের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক পরিসরে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিল সুপ্রিম কোর্ট।