Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • পুজোর ভিড়েই মৃত্যু! অন্ধ্রের মন্দিরে পদপিষ্টে ১২, শোকপ্রকাশ মোদীর, ঘোষণা আর্থিক সাহায্যের
দেশ

পুজোর ভিড়েই মৃত্যু! অন্ধ্রের মন্দিরে পদপিষ্টে ১২, শোকপ্রকাশ মোদীর, ঘোষণা আর্থিক সাহায্যের

modi on i day
Email :3

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে একাদশীর বিশেষ পুজোকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনায় কেঁপে উঠল এলাকা (Andhra Temple Stampede)। অতিরিক্ত ভিড়ের জেরে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩০ জন। গুরুতর আহত অনেকে এখনও হাসপাতালে ভর্তি। হঠাৎই এই বিভীষিকার ঘটনা ঘটে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে (Andhra Temple Stampede)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শনিবার সকালে একাদশী উপলক্ষে মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। সেই সময় হঠাৎই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় (Andhra Temple Stampede)। একাধিক ভক্ত ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়, সেখান থেকেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। চাপা পড়ে মৃত্যুমুখে ঢলে পড়েন বহু ভক্ত। ঘটনাস্থলেই নিহত হন নয়জন, পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও কয়েকজনের।

মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে শোকবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পদপিষ্টের (Andhra Temple Stampede) ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” সঙ্গে ঘোষণা করেন মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও। তিনি এক্স বার্তায় জানান, “এই হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Andhra Temple Stampede)। আহতদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর জেলা প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল।

ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও। স্থানীয়দের দাবি, ধর্মীয় উৎসবে বারবার ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা দেখা গেলেও প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে না। শনিবারের এই দুর্ঘটনা আবারও তুলে দিল নিরাপত্তা ও crowd-management-এ বড় ফাঁকির বিষয়।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন, তাই এই ঘটনার অভিঘাত ছড়িয়ে পড়েছে আরো বড় পরিসরে। পরিবারের সদস্য হারানো মানুষদের আর্তনাদে শোকের ছায়া গোটা অঞ্চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts