উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বিপর্যয়। এক মুহূর্তে যেন ধুয়ে-মুছে গেল ধারালী গ্রাম। প্রকৃতির তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, আর নিখোঁজের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সেনা জওয়ান থেকে সাধারণ মানুষ—কেউই রেহাই পাননি এই হড়পা বানের হাত থেকে। লাগাতার বৃষ্টিতে বুধবারও উদ্ধারকাজ বারবার ব্যাহত হচ্ছে (Uttarakhand)।
মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে উত্তরকাশীতে (Uttarakhand)। ক্ষীরগঙ্গা নদীতে নেমে আসে প্রবল হড়পা বান, সঙ্গে ভয়াবহ কাদামাটি। মুহূর্তে সেই স্রোত গ্রাস করে ধারালী গ্রামের একের পর এক ঘরবাড়ি, হোটেল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন সেনা জওয়ানও এই বন্যায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন (Uttarakhand)।
দুপুর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ (Uttarakhand) শুরু করে এনডিআরএফ। নিখোঁজদের খোঁজে নামানো হচ্ছে দিল্লি থেকে এয়ারলিফ্ট করে আনা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনুসন্ধানী কুকুর। প্রবল ভূমিধসের জেরে ৫টি জাতীয় সড়কসহ ১৬৩টি রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবারের ঘটনায় মোট ১১ জন সেনা জওয়ান নিখোঁজ ছিলেন। রাতের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও ৯ জনের কোনও খোঁজ মেলেনি। এনডিআরএফের ডিআইজি (অপারেশন) মহসিন শাহেদী বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ১০০ জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ। ইতিমধ্যেই ১৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এনডিআরএফের ৩টি দল উদ্ধারকাজে নেমেছে, আরও ৩টি দল পথে রয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনা, আইটিবিপি (ITBP) ও এসডিআরএফ (SDRF)ও তৎপর রয়েছে। কিছু টিম স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে এয়ারপোর্টে জরুরি প্রয়োজনে নামানোর জন্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর সঙ্গে কথা বলে উদ্ধারকাজের আপডেট নেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হেলিকপ্টারে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
আবহাওয়া দফতর আজও উত্তরকাশীর জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। ক্রমাগত ভারী বর্ষণের কারণে উদ্ধার অভিযান বারবার থমকে যাচ্ছে, ফলে নিখোঁজদের খোঁজে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে।