উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাও থেকে উঠে এল এক বিভীষিকাময় হত্যাকাণ্ডের গল্প, যেখানে স্ত্রী-ই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে। অভিযুক্তরা হলেন শিবা ও ফারমান ওরফে চুন্না। ঘটনার পর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে (Uttar Pradesh)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দু’জনেই স্বীকার করেছে যে তারা শিবার স্বামী ইমরানকে খুন করেছে এবং সেই পরিকল্পনায় সাহায্য করেছে ফারমানের বন্ধু রফিক কুরেশিও, যে এখনও পলাতক (Uttar Pradesh)।
পুলিশ সোমবার গ্রামে এক ড্রেনের কুলভার্টের কাছে রক্তের দাগ দেখতে পায়। তদন্ত শুরু করতেই ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় একটি শিরচ্ছিন্ন দেহ, যার পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও নথির ভিত্তিতে শনাক্ত হয় ইমরান (২৮)-এর দেহ, যিনি আকলাক নগরের বাসিন্দা ছিলেন (Uttar Pradesh)।
বিঘাপুর সার্কেল অফিসার ঋষিকান্ত শুক্ল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই শিবা ও ফারমানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং ইমরানের সঙ্গে ঘনঘন ঝগড়া হওয়ায় তারা এই ভয়াবহ খুনের ছক কষে (Uttar Pradesh)। তদন্তে জানা গেছে, তারা প্রথমে ইমরানকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে, তারপর ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে দেহটি ছুঁড়ে ফেলে দেয় গ্রামের পাশের ড্রেনে।
এই নৃশংস ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্ত রফিক কুরেশি এখনও পলাতক, তাকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্ত জারি রয়েছে এবং আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।