উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ শনিবার একটি বড়সড় অবৈধ ধর্মান্তর ও মৌলবাদ ছড়ানোর চক্র ভেঙে ফেলার দাবি করেছে, যেটি কর্মকর্তাদের মতে, কার্যত আইএস (ISIS)-এর মতো মডেলে পরিচালিত হচ্ছিল। দেশের ছয়টি রাজ্য থেকে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়, যার মধ্যে রয়েছেন এক নারীও।
এই চাঞ্চল্যকর তদন্তের সূত্রপাত ঘটে মার্চ মাসে আগ্রা (Uttar Pradesh) থেকে, যখন দুটি বোন (যাদের বয়স যথাক্রমে ৩৩ ও ১৮ বছর) নিখোঁজ হন। তদন্তে উঠে আসে, তারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এবং তাদের ধীরে ধীরে মৌলবাদী ভাবনায় প্রভাবিত করা হচ্ছিল (Uttar Pradesh) ।
আগ্রা (Uttar Pradesh) পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানিয়েছেন, “আমরা জানতে পারি, একটি বোনের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এমন ছবি ছিল, যেখানে একটি মেয়ে AK-47 রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, এই গোটা চক্রের পেছনে ‘লাভ জিহাদ’ ও মৌলবাদ প্রচারের বড়সড় চক্রান্ত কাজ করছিল। পাশাপাশি, এই নেটওয়ার্কে (Uttar Pradesh) বিদেশি অর্থায়নের সংযোগও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, “আমরা এমন প্রমাণ পেয়েছি, যাতে বোঝা যাচ্ছে এই সংগঠনটি আমেরিকা ও কানাডা থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছিল।”
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ ধর্মান্তরের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছেন, কেউ আশ্রয় দিয়েছেন, কেউ বিদেশি টাকা নিয়েছেন, আবার কেউ আইনি পরামর্শ দিয়ে এই কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, “চক্রটি যেভাবে ধর্মান্তর ও মৌলবাদ ছড়াচ্ছিল, তাতে স্পষ্টত আইএস-এর কৌশলের প্রতিফলন দেখা যায়।”
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নামও প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন:
আয়েশা ওরফে এসবি কৃষ্ণা (গোয়া)
আলি হাসান ওরফে শেখর রায় ও ওসামা (কলকাতা)
রেহমান কুরেশি (আগ্রা)
আব্বু তালিব (খালাপার, মুজফফরনগর)
আবুর রেহমান (দেরাদুন)
মোস্তফা ওরফে মনোজ (দিল্লি)
মোহাম্মদ আলি ও জুনায়েদ কুরেশি (জয়পুর)
এই ঘটনার গুরুত্ব ও জটিলতা বিবেচনায় এনে তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) ও অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (ATS)-এর বিশেষজ্ঞ দলকে।
এই ঘটনার পর গোটা রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও এবং তথ্য দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে।