উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ফতেপুর জেলায় এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। নদীর পাশে মেলে এক মুন্ডহীন কঙ্কাল। তারপর তদন্তের জালে উঠে এল এমন এক চিত্র, যা শুনে শিউরে উঠছে সকলে। স্ত্রী ও স্বামী মিলে নিজের প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন করে টুকরো টুকরো করে দেহ পুড়িয়ে দিলেন (Uttar Pradesh)! মাথা আলাদা করে গুমিয়ে ফেলা হয়েছিল শুধু সনাক্তকরণ রুখতেই (Uttar Pradesh)।
৯ জুলাই সাংবাদিক বৈঠকে ফতেপুর জেলার পুলিশ সুপার অনুপ সিং জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে রিন্দ নদীর ধারে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয়, মুন্ডহীন কঙ্কাল(Uttar Pradesh)। সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় সূত্রের ভিত্তিতে ওই দেহের পরিচয় জানা যায়—৩২ বছর বয়সী রাহুল পটেল, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ৩৮ বছর বয়সী এক বিবাহিত নারী সরিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন।
সরিতার স্বামী রামভবন (৪০) বিষয়টি আঁচ করে ফেলেন। সন্দেহ ও রাগে অন্ধ হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে চক্রান্ত করেন প্রেমিক রাহুলকে হত্যার (Uttar Pradesh)। ২ জুলাই, সরিতা কৌশলে রাহুলকে তাঁদের বাড়িতে ডেকে আনেন। বাড়িতে ঢুকতেই রামভবন তাঁকে দড়ি দিয়ে গলা টিপে খুন করে। এরপর স্ত্রী-স্বামী মিলে কাস্তে ও করাত ব্যবহার করে রাহুলের দেহ টুকরো টুকরো করেন।
দেহাংশগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয় রিন্দ নদীর পাশে। আর মাথাটি আলাদা করে অন্যত্র ফেলে দেওয়া হয়, যাতে চেহারা দেখে সনাক্ত করা না যায় (Uttar Pradesh)।
তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক প্রমাণ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, রাহুলের বাইকের অংশ, একটি ভাঙা মোবাইল ফোন, চশমা, বেল্ট এবং মাথার চুল। সবটাই পুলিশের হেফাজতে।
শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় সরিতা ও রামভবনকে। পুলিশের জেরায় দু’জনেই খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। তাদের দেখানো পথেই পুলিশ পৌঁছায় খুনের স্থান ও দেহাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার জায়গায়। জানা গেছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড উত্তরপ্রদেশে ফের একবার প্রমাণ করে দিল, সম্পর্কের জটিলতা কতটা ভয়ানক রূপ নিতে পারে। প্রেম, প্রতারণা, সন্দেহ ও প্রতিহিংসার এই কাহিনি এখন গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।