শনিবার ভারতে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাস (US Embassy) একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ (পূর্বে টুইটার) প্রকাশিত এক পোস্টে দূতাবাস (US Embassy) জানায়, যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক নির্ধারিত ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে আমেরিকায় থাকেন, তাহলে তাকে আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া (ডিপোর্ট) হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আর কখনও আমেরিকায় প্রবেশের অনুমতি নাও পেতে পারেন (US Embassy)।
এই সতর্কতা মূলত তাদের জন্য যারা ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট বা কর্মসংস্থানের (ওয়ার্ক ভিসা) উদ্দেশ্যে আমেরিকায় গেছেন বা যেতে ইচ্ছুক।
পোস্টে বলা হয়, “আপনি যদি আমেরিকায় নির্ধারিত অনুমোদিত সময়সীমার বেশি সময় থাকেন, তাহলে আপনাকে ডিপোর্ট করা হতে পারে এবং ভবিষ্যতে মার্কিন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।”
ভিসা নীতিতে কঠোরতা
ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন নীতিতে ধারাবাহিকভাবে কঠোরতা নিয়ে আসছে। কিছুদিন আগে প্রায় ৩০০ আন্তর্জাতিক ছাত্রের ভিসা বাতিল করা হয়, কারণ তাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে উগ্র আন্দোলনে জড়িত থাকা এবং “অ্যান্টি-ন্যাশনাল কনটেন্টে” জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
এমনকি H-1B, F-1 (ছাত্র ভিসা) ও গ্রিন কার্ডধারীদেরও সতর্ক করা হয়েছে যে, প্রশাসন সামাজিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারির আওতায়
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS) জানিয়েছে,
আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (সোশ্যাল মিডিয়া) পোস্ট করা বিষয়বস্তু যদি এমন কোনও গোষ্ঠীকে সমর্থন করে যাকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে, যেমন হামাস, হেজবুল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীরা — তাহলে সেটি ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের জন্য প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়াও DOS (ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট) জানিয়েছে, F (একাডেমিক স্টাডি), M (কারিগরি শিক্ষা), ও J (এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম) ক্যাটাগরির নতুন ছাত্র ভিসার আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেউ যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থন করে, তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার অনুমতি দেওয়া হবে না।