দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে আপাতত স্থগিত হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘Udaipur Files: Kanhaiya Lal Tailor Murder’-এর মুক্তি। এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন পরিচালক ও প্রযোজক অমিত জানি (Udaipur Files)।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অমিত জানি বলেন, “আমরা এই ছবির একটি বিশেষ স্ক্রিনিং করেছি তাদের আইনজীবী কপিল সিব্বল-এর জন্য। যদিও স্ক্রিনিং দেখার পরেও তিনি বিরোধিতা (Udaipur Files) করেন, কারণ তিনি তো তার জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছেন। আজ হাইকোর্ট এই ছবি মুক্তির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আমরা এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করতে।”
তিনি আরও বলেন, “তিন বছর আগে ক্যামেরার সামনেই কানহাইয়া লালকে (Udaipur Files) খুন করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই মামলার কোনও রায় হয়নি। অথচ, তার কষ্ট নিয়ে বানানো সিনেমা মুক্তির আগেই তিন দিনের মধ্যে আটকে গেল!”
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে কেন স্থগিত হলো মুক্তি?
এই মামলায় হাইকোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করে বলেছে, ছবিটি (Udaipur Files) মুক্তির আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে যে ছবিটি মুক্তি উপযোগী কি না। এই আদেশ আসে দুটি পৃথক আবেদনের ভিত্তিতে—একটি জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ এবং অপরটি সাংবাদিক প্রশান্ত টন্ডনের পক্ষ থেকে। তারা অভিযোগ করেন, এই সিনেমা “সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা” ও “গণশান্তি বিঘ্নিত হওয়ার” সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
চলচ্চিত্রের পটভূমি:
‘Udaipur Files’ নির্মিত হয়েছে ২০২২ সালের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে, যেখানে উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লাল-কে প্রকাশ্যে, ভিডিও রেকর্ড করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অভিযোগ, তিনি বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন। সেই ঘটনা গোটা দেশে তীব্র ক্ষোভ ও বিতর্ক ছড়িয়ে দেয়।
নির্মাতার দাবি, ‘এটি শুধু একটি সিনেমা নয়, কানহাইয়া লালের যন্ত্রণার প্রতিবাদ।’
অমিত জানি দাবি করেন, “এই সিনেমার মাধ্যমে আমরা কানহাইয়া লালের কষ্ট এবং সেই ঘটনার বাস্তবতা তুলে ধরতে চেয়েছি। যেখানে আদালতের রায় এখনও আসেনি, সেখানে আমরা ছবিতে কেবল তার দুঃখ ফুটিয়ে তুলেছি।”
তবে হাইকোর্ট বলেছে, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত মত দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সিনেমাটি মুক্তি পাওয়া যাবে না।