আমরনাথ যাত্রার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের (BSF) জন্য ত্রিপুরার উদয়পুর থেকে জম্মু যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ ট্রেন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ট্রেনের অবস্থা দেখে চমকে উঠেছেন সকলে। জানালা-দরজা ভাঙা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি খারাপ, টয়লেট ভাঙা, ভেতরে ময়লা, নোংরা—এই অবস্থার ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে (BSF) শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক বিতর্ক।
৯ জুন রওনা হওয়ার কথা ছিল এই দলটির। বিএসএফ (BSF) বাহিনী আগেই জানিয়েছিল, তাদের দীর্ঘ যাত্রার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ব্যবস্থা দরকার—২টি এসি ২-টায়ার, ২টি এসি ৩-টায়ার, ১৬টি স্লিপার এবং ৪টি জেনারেল ও এসএলআর কোচ। ট্রেনটি ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে জওয়ানদের তুলে নিয়ে যাওয়ার (BSF) কথা ছিল।
কিন্তু যে ট্রেনটি পাঠানো হয়েছিল, সেটির অবস্থা ছিল ভগ্নদশাগ্রস্ত (BSF) । ট্রেনের দরজা-জানালা ভাঙা, বসার আসন ছেঁড়া, শৌচাগার ব্যবহার অযোগ্য, এবং সর্বত্র নোংরার ছড়াছড়ি। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কংগ্রেস কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র শামা মোহাম্মদ বলেন, “সরকার শুধু চকচকে কিছু ট্রেনের পিআর নিয়েই ব্যস্ত। আর সাধারণ জওয়ানদের পশুর মতো যাত্রা করতে হয়। এটা লজ্জাজনক!”

ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন (BSF) এবং আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের তিনজন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ও এক ডিপো অফিসারকে সাসপেন্ড করেন।
তবে এই ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, বিএসএফের জন্য ওই নোংরা ট্রেন পাঠানো হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (এনএফআর) একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, “ভিডিওতে যে ট্রেনটি দেখা যাচ্ছে তা এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। এটি মেরামতের জন্য পাঠানো হচ্ছিল। বিএসএফ বাহিনীর যাত্রার জন্য তা বরাদ্দ করা হয়নি।”
পরবর্তীতে বিএসএফ দলের জন্য নতুন ট্রেন বরাদ্দ করা হয় এবং সেখান থেকেই তারা জম্মুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
প্রসঙ্গত, এবছর ৩৮ দিনের আমরনাথ যাত্রা ৯ আগস্ট শেষ হবে। এই যাত্রার নিরাপত্তায় কেন্দ্র থেকে ৫৮১টি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪২,০০০ জওয়ান থাকবেন।