রাজস্থানে তন্ত্র-মন্ত্রের নামে ঘটে গেল এক চরম নৃশংসতা (Murder)। সংসারে অশান্তির জেরে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য এক যুবক শরণাপন্ন হন এক ভণ্ড তান্ত্রিকের। আর সেই ‘তান্ত্রিকের নিদানে’ নিজের ভাগ্নেকেই বলি (Murder) দিলেন মামা। শিশুটির রক্ত চড়িয়ে স্ত্রীর ফিরে আসার মন্ত্র কার্যকর হবে, এমনই অন্ধবিশ্বাসে খুন করা হল একটি নিষ্পাপ প্রাণ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের অলওয়ার জেলায় গত শনিবার নিখোঁজ হয়ে যায় বছর সাতেকের লোকেশ নামের এক শিশু। পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি চলার পর, কয়েক ঘণ্টা পরেই একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির নিথর দেহ (Murder)। গলা কাটা অবস্থায় পড়ে ছিল শিশুটি। দেহে একাধিক সূচ ফোটানোর চিহ্নও ছিল।
ঘটনাস্থলের আশেপাশেই ছিলেন লোকেশের মামা মনোজ। পুলিশ শুরুতেই তাঁকেই সন্দেহের তালিকায় রাখে। জেরা শুরু হতেই বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সত্য। মনোজ স্বীকার করে নেয়, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদের কারণে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয় সে।
তদন্তে উঠে এসেছে, তান্ত্রিক মনোজকে জানায় স্ত্রীকে ফেরাতে হলে ‘তন্ত্র’ করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন শিশুর রক্ত (Murder)। এর বিনিময়ে ১২ হাজার টাকা দাবি করে তান্ত্রিক। স্ত্রীর প্রতি টান, আর অন্ধবিশ্বাসের মোহে তান্ত্রিকের কথামতো নিজের ছোট ভাগ্নেকে নিশানা করে মনোজ।
শিশুটিকে নিঃশব্দে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সে। তন্ত্রের ‘বলিদান’ সম্পূর্ণ করতে তান্ত্রিকের কাছে চড়ানো হয় সেই রক্ত (Murder)।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মনোজ এবং অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র ও শিশু নির্যাতনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, “এই ঘটনা প্রমাণ করে কুসংস্কার কীভাবে মানুষের মানবতাকেই গলা টিপে খুন করতে পারে। পুরো ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত চলছে।”
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থান জুড়ে। সমাজকর্মীরা বলছেন, “আজকের শিক্ষিত সমাজেও এই ধরনের অন্ধবিশ্বাসের বলি হতে হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুদের — এ লজ্জার, এ বিপদজনক।”