পহেলগাঁওয়ের রক্তক্ষয়ী জঙ্গি হামলার পর দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Terrorist attack)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টায় সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে (Terrorist attack)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা (Terrorist attack)।
এ ধরনের সর্বদলীয় বৈঠক নতুন নয়। অতীতেও দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বড় কোনও ইস্যুর সময়ে সরকার সব দলের মতামত নিত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার বৈঠকের তাৎপর্য আরও গভীর। কারণ, এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বার্তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যাতে পরবর্তী সময়ে কেউ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে না পারে কিংবা প্রশ্ন তোলার সুযোগ না পায়।
সরকারের কৌশল স্পষ্ট — জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বিরোধী দলগুলিকেও পাশে নিয়ে একসঙ্গে এগোতে চায় তারা। এই উদ্যোগের পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। বুধবার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভারত বাতিল করেছে ‘সিন্ধু জল বন্টন’ চুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নয়া দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনের কাজ। পাক নাগরিকদের জন্য সমস্ত ধরনের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। SAARC ভিসা এক্সেমপশনের আওতায় যাঁরা ভিসা পেয়েছিলেন, তাঁদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। দুই দেশের হাই কমিশন থেকে নিজেদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পথ।
সব মিলিয়ে, সরকারের পদক্ষেপে স্পষ্ট — এই হামলার কড়া জবাব দিতে কোনওরকম দ্বিধা রাখছে না ভারত। দেশের মাটি থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মূল করার লক্ষ্যে কেন্দ্র এখন সর্বদলীয় ঐক্য ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির মেলবন্ধনেই পথ খুঁজছে।