সাতসকালে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় শিউরে উঠল তেলঙ্গানা (Bus accident)। হায়দরাবাদ-বিজাপুর হাইওয়েতে সোমবার সকালে স্টোনচিপ বোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা মারে তেলঙ্গানা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাসে (Bus accident)। মুহূর্তের মধ্যে থমকে যায় রাস্তা, চারদিকে আতঙ্ক, কান্না আর চিৎকার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত আরও বহু যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (Bus accident)।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে তান্ডুর থেকে চেভেলা যাচ্ছিল স্টেট ট্রান্সপোর্টের বাস (Bus accident)। প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন তাতে। আচমকাই বিপরীত দিক থেকে আসা পাথর বোঝাই ট্রাক সোজা ধাক্কা দেয় বাসের সামনে। আঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে বাসের সামনের অংশ চূর্ণ হয়ে যায়। ভারী পাথর গড়িয়ে পড়ে ভিতরে, বহু যাত্রী আটকে পড়েন (Bus accident)। স্থানীয়রা এবং উদ্ধারকর্মীরা তৎক্ষণাৎ ছুটে এসে বাসের জানালা ভেঙে যাত্রীদের বার করার চেষ্টা শুরু করেন। কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় টেনে বার করা গেলেও বহু যাত্রী সেখানেই প্রাণ হারান। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, “সব কিছু কয়েক সেকেন্ডেই শেষ। চিৎকার, দৌড়ঝাঁপ, তারপর নিস্তব্ধতা।”
উদ্ধারকারী দল ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্রেন ও কাটার মেশিনের সাহায্যে বাসের অংশ কেটে আটকে পড়া দেহ উদ্ধার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠে হৃদয়বিদারক ভিডিয়ো— দেখা যায় স্থানীয়রা ও উদ্ধারকর্মীরা মরিয়া প্রচেষ্টায় পাথর সরাচ্ছেন, আহতদের কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি (Bus accident)। দ্রুত উদ্ধার ও চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সরকারের তরফে নিহতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ট্রাকের অতিরিক্ত গতির কথা উঠে আসছে। তবে সঠিক কারণ জানার জন্য ফরেনসিক ও মেকানিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মৃত্যু হল সাধারণ মানুষের, যার অনেকেই ছিলেন দৈনিক যাত্রী। সকালে বেরোনোর সময় কেউ ভাবতেও পারেননি, ফেরার পথ আর থাকবে না।
তেলঙ্গানার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলল নিরাপত্তা ও রাস্তার বেপরোয়া গতির উপর। জীবন হারালেন সাধারণ যাত্রীরা— কয়েক সেকেন্ডের অসতর্কতায় অগ্নিগোলায় পরিণত হল সকালের ব্যস্ত রাস্তা।






