তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কুড্ডালোরে একটি মর্মান্তিক স্কুল ভ্যান দুর্ঘটনা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা ও বিতর্ক। ডিএমকে-র সিনিয়র নেতা টি.কে.এস. ইলঙ্গোভন দাবি করেছেন, এই ভয়াবহ ট্রেন-ভ্যান সংঘর্ষের মূল কারণ হতে পারে ভাষাগত বিভ্রান্তি। তাঁর অভিযোগ (Tamil Nadu), দুর্ঘটনার সময় রেলগেট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি তামিল ভাষাভাষী ছিলেন না, ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে সঠিক যোগাযোগে ব্যর্থ হন তিনি।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কুড্ডালোর ও আলাপ্পাক্কামের মধ্যে অবস্থিত ১৭০ নম্বর রেলগেটে (Tamil Nadu)। এটি একটি ‘ম্যানড বাট নন-ইন্টারলকড’ লেভেল ক্রসিং, অর্থাৎ যেখানে একজন গেটকিপার থাকলেও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা নেই। ঠিক সেই সময় পাঁচজন পড়ুয়া ও এক চালককে নিয়ে একটি স্কুল ভ্যান গেট পার হতে যায়, যখন গেট বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিল একটি আসন্ন ট্রেনের জন্য (Tamil Nadu)।
Villupuram–Mayiladuthurai প্যাসেঞ্জার ট্রেন (নম্বর 56813) সেই ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা মারে এবং প্রায় ৫০ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ভ্যান থেকে দুই ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। পরে আরও একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান (Tamil Nadu)।
দুর্ঘটনায় নিহত তিনজন পড়ুয়া হলেন — নিমিলেশ (১২), চারুমথি (১৬) এবং চেঝিয়ান। বাকি আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে কুড্ডালোর গভর্নমেন্ট হাসপাতালে।
রেলগেট রক্ষী পঙ্কজ শর্মাকে ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয় এবং পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শর্মা গেট বন্ধ করার সময় ভ্যানচালক কোনওভাবেই পার হওয়ার চেষ্টা করেন এবং সতর্ক করার পরেও তা উপেক্ষা করেন।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্টালিন গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এই ঘটনায়। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আহতদের চিকিৎসায় কোনও রকম ঘাটতি না থাকে।
বিরোধী নেতা এডাপ্পাডি কে. পলানিস্বামীও শোকপ্রকাশ করেছেন ও দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
রেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই একটি রিলিফ ট্রেন পাঠিয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। রেল ও রাজ্য পুলিশের যৌথ তদন্ত চলছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে ভাষা সমস্যা জড়িত কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তীব্র হচ্ছে। কারণ, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একজন স্থানীয় ভাষাভাষী কর্মীর অনুপস্থিতি কি আরও বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে?