বাংলার রাজনীতিতে ফের নতুন বিতর্ক। ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন (SIR) এখনও ঘোষণা হয়নি, কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকার কাজের দায়িত্বে থাকা বিএলও-দের মধ্যে অনেকেই শাসক দলের পদাধিকারী। ফলে তাঁদের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য নিরপেক্ষ হবে না বলেই আশঙ্কা তুলেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)।
শনিবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন। সেখানে তিনি নাম প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৭ নম্বর বুথের বিএলও মহম্মদ আলাউদ্দিন মোল্লা শুধু সরকারি প্রতিনিধি নন, তিনি নাকি সরিসা তৃণমূল অঞ্চলের সভাপতি। এখানেই শেষ নয়—শুভেন্দুর দাবি, আলাউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী লিয়ালা বিবিও তৃণমূলের সক্রিয় নেত্রী এবং ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নির্বাচিত প্রার্থী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু লেখেন, “এই রকম রাজনৈতিক প্রভাব ও পরিচয় সম্পন্ন বিএলও-দের দয়া করে সরিয়ে দিন। এদের তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্যই নিয়োগ করা হয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিদের দায়িত্বে রাখলে ভোটার তালিকার নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।”
বিরোধী দলনেতার এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের একাংশ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্যকে সমর্থন করে লেখেন, “যেখানে ভোটার তালিকা সংশোধন, সেখানে কোনও রাজনৈতিক পদাধিকারীর থাকা অনৈতিক।” অন্যদিকে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, এই অভিযোগ পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের কাছ থেকে ওই বিএলও সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করেছেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যে ভোটার তালিকা পরিমার্জনের আগে এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই এখন নজর রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। শুভেন্দুর এই পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে এক নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা—ভোটের আগে যা নিঃসন্দেহে শাসক-বিরোধী সংঘাতকে আরও উস্কে দেবে।
এখন প্রশ্ন একটাই—ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কতটা ‘স্বচ্ছ’ ও ‘নিরপেক্ষ’? আর সেই উত্তরই নির্ধারণ করবে, বাংলার ভোটের ময়দানে কতটা বিশ্বাসযোগ্য থাকবে কমিশনের প্রক্রিয়া।













