নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫,৭৫২ জনের। এর মধ্যে ১,৮০৬ জনকে সরাসরি অযোগ্য-তালিকায় ফেলে দিয়েছে এসএসসি। বাকিদের জন্য আবারও নতুন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই পরীক্ষার প্রথম দফা হবে ৭ সেপ্টেম্বর, আর দ্বিতীয় দফা ১৪ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু তার আগেই একের পর এক মামলা জমা পড়ছে আদালতে (Supreme Court)। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট— প্রায় প্রতিদিনই নতুন মামলা হচ্ছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনই একটি মামলার শুনানিতে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা।
আদালতে প্রশ্ন ওঠে— দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের নাম কি প্রকাশ করা হয়েছে? এসএসসি জানায়, ইতিমধ্যেই অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডও বাতিল করা হয়েছে। বিচারপতি (Supreme Court) ফের নিশ্চিত হতে চান— “সব দাগি অযোগ্য প্রার্থীকেই বাদ দেওয়া হয়েছে তো?” এসএসসির আইনজীবীর জবাব— “হ্যাঁ, বাদ দেওয়া হয়েছে।”
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএসসি-র নীতিগত সিদ্ধান্তে আর হস্তক্ষেপ করা হবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ— এই প্রক্রিয়ায় সব দিক বিবেচনা করা হয়েছে এবং যাঁরা দাগি, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলে এসএসসি-র বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা করা হয়েছিল, তা খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ন্যূনতম নম্বর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেও হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।