জম্মু-কাশ্মীর কি আবার রাজ্যের মর্যাদা পাবে? এই প্রশ্ন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হল। মামলায় দাবি করা হয়, দুই মাসের মধ্যে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি তা না করা হয়, তবে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী হবে।
বিচারপতিরা (Supreme Court) বলেন, পহেলগাঁও হামলার মতো ঘটনা উপেক্ষা করা যায় না। জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখতে হবে। পিটিশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী গোপাল শঙ্কর নারায়ণ অনুরোধ করেন, সব মামলা একসঙ্গে শুনানি করা হোক। প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, প্রথমে সরকারকে জবাব দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, নির্বাচনের পর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস আগেই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে অযথা জলঘোলা করা ঠিক নয়। আমরা পদক্ষেপ করব, তবে ৮ সপ্তাহ সময় চাই।”
পিটিশনাররা অভিযোগ করেন, রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর আগে বিধানসভা নির্বাচন করানো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নীতি ভঙ্গ করেছে।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেয় এবং রাজ্যকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে। তখন কেন্দ্র বলেছিল, সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে। ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টও বলেছিল, বিধানসভা নির্বাচনের পর দ্রুত এই মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে।
গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হয় এবং ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে সংসদে বিল এনে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।