বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনায় সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে—আগামী ৯ আগস্টের মধ্যে কমিশনকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে (Supreme Court)।
মামলাকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্মস (ADR)-এর অভিযোগ, নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (SIR) যথাযথভাবে না করেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে বিহার। তাঁদের দাবি, তালিকা থেকে বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের পরিচয় নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি—তাঁরা মারা গিয়েছেন নাকি অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি। আইনজীবী (Supreme Court) প্রশান্ত ভূষণ আদালতে বলেন, “৬৫ লক্ষ নাম বাদ গেছে, অথচ ব্লক স্তরে রাজনৈতিক দলগুলিকে তালিকা সরবরাহ করা হয়নি।” তাঁর আরও অভিযোগ, বুথ লেভেল অফিসারের সুপারিশ উপেক্ষা করে ভোটার লিস্টে নাম যোগ বা বাদ দেওয়া হয়েছে এবং যাঁদের নাম যুক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশেরও বেশি প্রয়োজনীয় নথি জমা দেননি। অনেক ক্ষেত্রে বিএলও-রা যাচাই না করেই নিজেরাই ফর্ম পূরণ করেছেন।
বিচারপতি (Supreme Court) সূর্যকান্ত, বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা ও বিচারপতি এন. কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশনকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর মেনে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে ব্লক স্তরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের কাছে সেই তালিকা ভাগ করতে হয়। আদালত জানতে চায়, বিহারের ক্ষেত্রে কি এই প্রক্রিয়া মানা হয়েছিল?
নির্বাচন কমিশন দাবি করে, খসড়া তালিকা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও ভাগ করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ—“তাহলে জবাবে লিখিতভাবে জানান। কোন কোন রাজনৈতিক দলকে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তার বিস্তারিত লিস্ট দিন, যাতে মামলাকারীরা যাচাই করতে পারেন। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে প্রত্যেক ভোটার যেন অবগত থাকেন এবং আপত্তি জানানোর সুযোগ পান। রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও এই তথ্য থাকা জরুরি।”
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ আগস্ট।