Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “শিব, আমরা কি তোমার সন্তান নই?” ঈশ্বরকে আবেগে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিল যুবক, শেষ চিঠি পড়ে কেঁদে ফেলছে নেটপাড়া!
দেশ

“শিব, আমরা কি তোমার সন্তান নই?” ঈশ্বরকে আবেগে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিল যুবক, শেষ চিঠি পড়ে কেঁদে ফেলছে নেটপাড়া!

“শিব, আমরা কি তোমার সন্তান নই?” ঈশ্বরকে আবেগে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিল যুবক, শেষ চিঠি পড়ে কেঁদে ফেলছে নেটপাড়া!
Email :16

তেলেঙ্গানার রাজন্না সিরকিল্লা জেলার ভেমুলাওয়াদা শহরে ঘটল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা (Suicide Note)। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই জীবনের প্রতি সমস্ত আশা হারিয়ে আত্মঘাতী হলেন দীতি রোহিত নামে এক যুবক। ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর, কিন্তু বহু চেষ্টা করেও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি (Suicide Note)। অবশেষে শিবের উদ্দেশে এক আবেগমথিত চিঠি লিখে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন এই যুবক।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিত এমএসসি শেষ করার পর বর্তমানে বি.এড করছিলেন। কিন্তু মনের ভিতর অপূর্ণতা আর ব্যর্থতার গ্লানি তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল প্রতিনিয়ত (Suicide Note)। সেই হতাশা শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় এক ভয়ানক সিদ্ধান্তে। শনিবার নিজের ঘরেই ভগবান শিবের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন রোহিত। এরপর সেখানেই আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘর থেকে পাওয়া চিঠিটি (Suicide Note) বাজেয়াপ্ত করেছে। তেলেগু ও ইংরেজি ভাষায় লেখা সেই চিঠিতে রোহিত লিখেছেন, “শিব, তোমার সমস্ত জ্ঞান দিয়ে কি তুমি আমার ভাগ্য এমন করেই লিখেছ? তোমার নিজের সন্তানের জন্যও কি এমনই লিখতে? আমরা কি তোমার সন্তান নই?” তাঁর কথায়, মৃত্যুর যন্ত্রণা যত না ভয়াবহ, তার থেকেও বেশি যন্ত্রণাদায়ক এই জীবন বয়ে বেড়ানো।

চিঠিতে নিজের জীবনের লড়াইয়ের কথা বিস্তারিতভাবে লিখেছেন রোহিত। জানিয়েছেন, তিনি সবসময় নিজের প্রতি সৎ ছিলেন, সৎ থেকেছেন সমাজের প্রতিও। জীবনে একাধিক ভালো মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে এই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে মুক্তি পাওয়াই ছিল তাঁর একমাত্র পথ।

সবচেয়ে মর্মান্তিক অংশটি হল, রোহিত নিজের শেষ ইচ্ছার কথাও জানিয়ে গিয়েছেন চিঠিতে। তাঁর অনুরোধ, মৃত্যুর পর যেন তাঁর দেহ কাশীর ঘাটে দাহ করা হয়। তিনি আর মানুষ হয়ে জন্মাতে চান না – এই জীবন তাঁকে ক্লান্ত করেছে, ভেঙে দিয়েছে।

এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ আত্মহত্যার কারণ ও সম্ভাব্য অন্যান্য তথ্যের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা আরও একবার সমাজের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts