বেঙ্গালুরুর সি কে আচুকাট্টু এলাকায় ঘটে গেল হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা (Student Suicide) করেছে, আর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে আসছে জনপ্রিয় জাপানি ওয়েব সিরিজ ‘ডেথ নোট’-এর প্রভাব (Student Suicide)।
ঘটনাটি ঘটে ৩ আগস্টের রাতের মধ্যে। পরিবারের সদস্যরা ছেলেটিকে মৃত (Student Suicide) অবস্থায় খুঁজে পান। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ছেলেটির ঘর তল্লাশি চালিয়ে দেখে, সে ‘ডেথ নোট’-এর একটি চরিত্র নিজ হাতে এঁকেছে। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, ওই সিরিজ কি আদৌ তার মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করেছিল কিনা।
পরিবারের দাবি, স্কুলে বা বাড়িতে ছেলেটির (Student Suicide) কোনো সমস্যা ছিল না। পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো চাপের চিহ্নও তারা খেয়াল করেননি। ফলে এই চরম সিদ্ধান্তের আসল কারণ এখনও ধোঁয়াশায় ঢাকা। এদিকে ছেলেটির মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য জব্দ করেছে পুলিশ।
যারা সিরিজটি চেনেন না, ‘ডেথ নোট’-এর গল্প ঘুরপাক খায় এক উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ার চারপাশে, যে একদিন হাতে পায় রহস্যময় একটি নোটবুক—“ডেথ নোট”—যার পাতায় কারও নাম লিখলেই সেই ব্যক্তি মারা যায়। এরপর সেই ছাত্র পৃথিবী থেকে ‘অনৈতিক’ মানুষদের সরিয়ে একটি অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার চেষ্টা শুরু করে, আর জাপানি পুলিশের বিশেষ দল তাকে থামাতে মরিয়া হয়ে ওঠে (Student Suicide)।
এরই মধ্যে রাজধানী দিল্লিতেও (Student Suicide)ঘটেছে আরেক মর্মান্তিক ঘটনা। অম্বিকা বিহার কলোনির এক বাড়িতে লোহার পাইপে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১০ বছরের এক শিশুর দেহ। ৩ আগস্ট এই ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শিশুটি মোবাইল গেম খেলায় আসক্ত ছিল।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মৃত্যুর দিন শিশুটি প্রায় ১০–১১ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে ৭ ঘণ্টা গেম খেলেছে এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ইউটিউবে সক্রিয় ছিল। শিশুটির বাবা জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই ভারী বৃষ্টির কারণে সে স্কুলে যায়নি।