স্কুল মানেই একজন ছাত্রছাত্রীর দ্বিতীয় বাড়ি। যেখানে তারা শুধু পড়াশোনা করে না, শেখে জীবন চালানোর পথও। কিন্তু বিহারের এক স্কুলেই ঘটল এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা শুনে গা শিউরে উঠবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ নাকি বকেয়া ফি না দেওয়ায় প্রথম শ্রেণির একটি শিশুকে ঘরের ভিতর বন্ধ করে দেয়, আর পরে সেখানেই মৃত (Student Death) অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মণিপুরা এলাকার রামপুর পঞ্চায়েতে। সেখানকার বাসিন্দা রাকেশ কুমার, তাঁর দুই ছেলে— বড় উজ্জ্বল কুমার, আর ছোট আনন্দ কুমার, দুজনেই ভর্তি ছিল একটি বেসরকারি স্কুল ও হোস্টেলে (Student Death)।
কিছুদিন ধরে উজ্জ্বল তার ভাই আনন্দকে স্কুলে দেখতে পাচ্ছিল না। বিষয়টি সে বাড়িতে জানায়। তখন আনন্দের মা চিন্তিত হয়ে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেন— প্রথমে বকেয়া টাকা দিন, তারপর ছেলের সঙ্গে দেখা হবে (Student Death)।
আনন্দের মা টাকাপয়সা জোগাড় করে স্কুলে যান। তখন এক শিক্ষক তাঁকে নিয়ে যায় স্কুলের একটি তালাবন্ধ ঘরের সামনে। দরজা খুলে যখন তিনি ভেতরে যান, দেখেন তাঁর ছেলের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে (Student Death)। এই দৃশ্য দেখে তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন।

শুধু এখানেই শেষ নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ এরপর চুপচাপ আনন্দের দেহ একটি বাইকে করে হাসপাতালে পাঠায়, আর সেখান থেকে সরাসরি বাড়িতে দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রামপুর পঞ্চায়েতের মানুষ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কিন্তু ততক্ষণে স্কুলের সব শিক্ষক-শিক্ষিকা পালিয়ে যান এবং স্কুলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় আনন্দের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত যাদব বলেন, “এই ধরনের ঘটনা স্কুল প্রশাসন আর প্রভাবশালীদের কারণে বারবার চাপা পড়ে যাচ্ছে।”