নেপালে (Nepal) ভয়াবহ অশান্তির মাঝে আটকে পড়া যাত্রীদের দেশে ফেরাতে এগিয়ে এল ভারত। বুধবার দিল্লি সরকার ঘোষণা করেছে, কাঠমান্ডু থেকে বিশেষ ফ্লাইট চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো, যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ফিরতে পারেন (Nepal)।
কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত ফ্লাইট (Nepal) চলবে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বিশেষ পরিষেবা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইটও আবার চালু হবে।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ভাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখা হয় (Nepal), যাতে সাধারণ যাত্রীরা অতিরিক্ত খরচে বিপদে না পড়েন।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আজ ও কাল দিল্লি-কাঠমান্ডু (Nepal) রুটে বিশেষ ফ্লাইট চলবে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে যাত্রার আগে ওয়েবসাইটে গিয়ে ফ্লাইট স্ট্যাটাস দেখে নিতে।
এই সিদ্ধান্ত আসে কয়েক ঘণ্টা পর, যখন নেপাল (Nepal) কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (TIA) আবার খোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে বিমানবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল, কারণ বিক্ষোভকারীরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। রানওয়ের পাশে অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
কিন্তু বিমানবন্দর (Nepal) খোলার ঘোষণার পরও নতুন সমস্যা দেখা দিল। হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের গেটে ভিড় করলেও তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এক যাত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি দুই দিন ধরে এখানে আছি, বিমানবন্দরের মেঝেতে ঘুমাচ্ছি। প্রতি ঘণ্টায় বলে ফ্লাইট খুলছে, কিন্তু আসলে কিছুই হচ্ছে না।”
নিরাপত্তার জন্য সেনা নামানো হয়েছে । রাজধানীতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই লুটপাট ও সহিংসতায় জড়িত ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে নেপাল আর্মি।
অশান্তির জেরে শত শত বিদেশি নাগরিক কাঠমান্ডুতে আটকে পড়েন। ভারতীয় এয়ারলাইন্স ছাড়াও স্পাইসজেটসহ একাধিক সংস্থা নিজেদের ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত দুই দিনে নেপালে ভয়াবহ ছাত্র-আন্দোলন দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান এবং দুর্নীতির অভিযোগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, প্রাক্তন নেতাদের বাড়ি, এমনকি সংসদ ভবন পর্যন্ত আক্রমণ করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দু’জনই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেনা আপাতত রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে।