জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন সিঙ্গাপুর নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈশালী ভাট (Operation Sindoor)। গত ২২ এপ্রিল পাহেলগামের বৈসারণ উপত্যকায় পর্যটকদের উপর চালানো হামলার ঠিক দেড় ঘণ্টা আগেই সেই এলাকা ছেড়েছিলেন তিনি ও তাঁর স্বামী ।
ওই দিন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন (Operation Sindoor)। আহত হন আরও অনেকে। আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠলে পরে দায় স্বীকার করে পিছু হটে লস্করের সহযোগী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)।
এই বিভীষিকার পরে ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছিলেন বৈশালী। তবে ৭ মে সকালে সংবাদপত্রে “অপারেশন সিঁদুর” (Operation Sindoor) এর খবর পড়ার পর তাঁর মনোভাব একেবারে বদলে যায়। ওই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা সন্ত্রাসীদের একাধিক ঘাঁটি নিশানায় এনে ‘প্রেসিশন স্ট্রাইক’ চালায় ভারত। নিহত হয় ১০০-রও বেশি জঙ্গি, যার মধ্যে ছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ১০ আত্মীয় এবং চারজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বিজেপি সাংসদ হেমাং যোশীর সঙ্গে এক আলোচনায় বৈশালী ভাট জানান, “অপারেশন সিঁদুর” নামটি তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এটি শুধু প্রতিশোধ নয়, এক গভীর প্রতীক — সুরক্ষা, বিশ্বাস আর আত্মিক বন্ধনের। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি (Operation Sindoor)।
ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, ইন্দাস জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি বিমান সংস্থার জন্য আকাশপথ বন্ধ ও সামরিক সংযুক্তিদের বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।