বিশ্বের শীতলতম মহাদেশ আন্টার্কটিকায় ইতিহাস গড়লেন সিকিমের পর্বতারোহী (Sikkim Mounteer) মনিতা প্রধান। মাইনাস ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, তীব্র হিমেল হাওয়া এবং বিপজ্জনক খাড়া বরফের ঢাল উপেক্ষা করে আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট ভিনসন ম্যাসিফ জয় করলেন তিনি (Sikkim Mounteer)। শৃঙ্গচূড়ায় পৌঁছে গর্বের সঙ্গে ওড়ালেন ভারতের তেরঙ্গা।
মনিতার এই অভিযান ‘প্রজেক্ট সেভেন সামিটস’-এর অংশ। বিশ্বের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে তিনি (Sikkim Mounteer) ইতিমধ্যেই ছ’টি শৃঙ্গ জয় করেছেন। মাউন্ট ভিনসন ম্যাসিফ ছিল সেই অভিযানের ষষ্ঠ শৃঙ্গ। এবার তাঁর সামনে রইল শেষ চ্যালেঞ্জ, অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কোসিউসকো।
১ ডিসেম্বর সিকিমের গ্যাংটক থেকে যাত্রা শুরু করেন মনিতা (Sikkim Mounteer)। সমুদ্রপথে ও আকাশপথে দীর্ঘ সফর শেষে নিউইয়র্ক হয়ে তিনি পৌঁছান চিলির পুন্তা অ্যারেনাসে। সেখানে দু’দিন থেকে আন্টার্কটিকার কঠিন আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেন। এরপর অভিযাত্রী দলটি আন্টার্কটিকার ইউনিয়ন হিমবাহ ক্যাম্পে উড়ে যায় এবং সেখান থেকে মাউন্ট ভিনসনের বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়।
১০ ডিসেম্বর বেস ক্যাম্প থেকে শুরু হয় চূড়ার অভিযান। সেই সময় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রবল ঠান্ডা, ধারালো বাতাস এবং খাড়া বরফের দেওয়াল পেরিয়ে এগোতে হয়েছে প্রতিটি ধাপে। কঠিন পরিস্থিতিতেও অসাধারণ ধৈর্য ও মানসিক শক্তি দেখিয়ে এগিয়ে যান মনিতা। অবশেষে ১২ ডিসেম্বর ভারতীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে তিনি মাউন্ট ভিনসন ম্যাসিফের চূড়ায় পৌঁছন এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেন।
মনিতার এই সাফল্য সিকিম ও দেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে এক গর্বের মুহূর্ত বলে মনে করছেন হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ রজনীশ যোশী। তাঁর কথায়, মনিতার সাহস, দৃঢ়তা ও নিষ্ঠা আগামী প্রজন্মের পর্বতারোহী, বিশেষ করে তরুণীদের অনুপ্রাণিত করবে। দেশের দুঃসাহসিক চেতনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই অভিযান। এখন সকলের নজর অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর শেষ শৃঙ্গ জয়ের অভিযানের দিকে।











