দলের অন্দরে বিতর্ক যেন থামছেই না (Shashi Tharoor)। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বুধবার কড়া ভাষায় নিশানা করেন শশী থারুরকে (Shashi Tharoor), যিনি সম্প্রতি বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে খোলাখুলি বিতর্কের মুখে পড়েছেন। এর জবাবে থারুর সামাজিক মাধ্যমে একটি রহস্যময় বার্তা শেয়ার করেন — যা অনেকের মতে, দলের ওপর তাঁর ক্ষোভেরই ইঙ্গিত (Shashi Tharoor)।
থারুর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “Don’t ask permission to fly. The wings are yours, and the sky belongs to no one.” অর্থাৎ, উড়তে হলে অনুমতির প্রয়োজন হয় না — ডানা তোমার, আকাশ কারও একার নয়। রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, এটি কংগ্রেসের প্রতি তাঁর ক্ষোভ ও বিদ্রূপের ইঙ্গিত (Shashi Tharoor)।
এর আগেই, গুলবার্গায় এক ভাষণে খাড়গে থারুরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেন, “শশী থারুরের (Shashi Tharoor) ভাষা খুব ভালো, তাই তাঁকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে। আমি বলেছিলাম আমরা একজোট হয়েই দেশের জন্য কাজ করছি, কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, ‘মোদী আগে, দেশ পরে’। তাহলে আমরা কী করব?”
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফের বিতর্ক উসকে ওঠে। কংগ্রেসের অন্দরেই ধরা পড়ে ক্ষোভ। কারণ, সম্প্রতি থারুর (Shashi Tharoor) ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর বিদেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে “ভারতের এক প্রধান সম্পদ” বলে প্রশংসা করেন, এবং ইউপিএ সরকারের আমলের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। এতে কংগ্রেসের একাংশ তাঁকে দলবিরোধী আচরণের অভিযোগে বিঁধতে থাকেন।
যদিও থারুর পাল্টা জবাবে স্পষ্ট জানান, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না, বরং এটি ছিল “জাতীয় স্বার্থে সকলের একত্রিত হওয়ার প্রয়াস”। তিনি আরও বলেন, তাঁর কথাগুলি “ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে” এবং তিনি “এই ধরনের ট্রোলিং নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না”।

এই বিতর্কের মাঝেই ফের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন থারুর, এবং জানান, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ থাকলেও কোনো ‘অন্তর্ঘাত’ নেই। এমনকি ১১ জুন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিনিধি দলের সফর শেষে।
কিন্তু তাঁর এই বারবারের প্রশংসা ও সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কংগ্রেস নেতারা। থারুর যেন নিজের মতো চলতে শুরু করেছেন — দল বলছে ‘দেশ আগে’, কিন্তু থারুরের কথায় ঘুরেফিরে উঠে আসে মোদীর নাম।
এই প্রেক্ষিতে তাঁর “ডানা তোমার, আকাশ কারও একার নয়” বার্তা দলীয় শৃঙ্খলা ও অনুগতদের প্রতি এক সরাসরি ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।