চিনের কিংদাও শহরে চলমান সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে চমকপ্রদ অবস্থান নিল ভারত। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) নেতৃত্বে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। তবে সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী(Rajnath Singh) — আর তাতেই যেন চিন ও পাকিস্তানের ‘গোপন আঁতাত’কে সরাসরি জবাব দিল নয়াদিল্লি।
বিবৃতিতে বালোচিস্তানের প্রসঙ্গ থাকলেও পহেলগাঁওয়ের উল্লেখ ছিল না। এই প্রশ্নই সম্মেলনে তুলেছেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) । তিনি সাফ জানান, যেখানে বালোচিস্তানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেখানে পহেলগাঁওয়ের মতো ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা উপেক্ষিত কেন? কূটনৈতিক (Rajnath Singh) মহলের মতে, বালোচিস্তানের উল্লেখ করে চিন-পাকিস্তান জুটি যেন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিতে চেয়েছে—যাতে বোঝানো হয় যে, বালোচিস্তানে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে।
ভারত এই প্রতিক্রিয়াকে সহজভাবে নেয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) তাঁর বক্তৃতায় সাফ জানান, সন্ত্রাসবাদ আর শান্তি কখনও একসঙ্গে থাকতে পারে না। সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে তার ফল ভোগ করতেই হবে। তিনি বলেন, সীমান্তে কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে যাচ্ছে। সেই দেশগুলির বিরুদ্ধে এখনই সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেওয়া উচিত এই গোষ্ঠীর (SCO)-এর।
পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গে এসে রাজনাথ বলেন, সেখানকার হামলায় ধর্ম দেখে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ভারত সেই হামলার জবাব দিয়েছে উপযুক্তভাবে। এই বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে যারা সন্ত্রাস ছড়াবে, তাদের আশ্রয় আর নিরাপদ থাকবে না।
এই বক্তৃতা এবং যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের এক শক্ত অবস্থানের প্রতিচ্ছবি—যেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে।