মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া রাজ কুশওয়াহা, যিনি রাজা রঘুবংশী হত্যার (Meghalaya Murder) ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে অভিযোগ, তাকেই নাকি দেখা গিয়েছিল মৃত রঘুবংশীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। এমনই দাবি করেছেন রঘুবংশীর মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
রঘুবংশীর (Meghalaya Murder) বোন একটি ভিডিওতে দাবি করেছেন, অন্ত্যেষ্টির সময় রাজ কুশওয়াহা ছিলেন এবং তিনি সোনামের বাবার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। ভিডিওতে তাঁকে সোনামের বাবার ডানদিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
রঘুবংশীর মা (Meghalaya Murder) সংবাদমাধ্যমে জানান, অন্ত্যেষ্টিতে উপস্থিত কিছু লোক তাঁকে বলেছিলেন, রাজ কুশওয়াহা সেদিন সেখানে ছিলেন। যদিও তিনি কখনও কুশওয়াহার নাম শোনেননি বা তাঁকে চেনেন না বলে জানান।
এক প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মণ সিং রাঠোর জানান, তিনি একটি গাড়িতে রঘুবংশীর (Meghalaya Murder) বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন এবং সেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন রাজ কুশওয়াহা। যদিও তাঁদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। পরে সংবাদমাধ্যমে রাজের ছবি দেখে তিনি চিনতে পারেন যে তিনিই ছিলেন সেই চালক।
এই হত্যাকাণ্ড চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় যখন রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনামকে মেঘালয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সঙ্গে ধরা পড়ে আরও তিন অভিযুক্ত—আকাশ রাজপুত (১৯), বিশাল সিং চৌহান (২২) ও বিষ্ণু। সোনাম এই তিন যুবককে ভাড়ায় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
রাজা রঘুবংশী ও সোনাম ১১ মে বিয়ে করেন এবং মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ে যান। ২৩ মে তাঁরা নিখোঁজ হন। পরে ২ জুন ওয়েইসাডং জলপ্রপাতের কাছে একটি খাদে রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর থেকে ধরা হয় রাজপুতকে, তারপর ইন্দোর থেকে ধরা হয় চৌহান ও কুশওয়াহাকে।
এদিকে, সোনামের বাবা দেবী সিং রঘুবংশী দাবি করেছেন, রাজ কুশওয়াহার নাম মিথ্যা ভাবে তাঁর মেয়ের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে এবং মেঘালয় পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।