বিহারে নির্বাচনী প্রচারের শুরুতেই বিস্ফোরণ। একদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi), অন্যদিকে বিজেপির তীব্র পাল্টা আক্রমণ। বুধবার রাজ্যের তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যৌথ সভায় রাহুলের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি অভিযোগ করেছে, রাহুল কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নন, অপমান করেছেন গোটা বিহারের সাধারণ ভোটারকেও।
বিজেপি নেতা প্রদীপ ভান্ডারি কড়া ভাষায় বলেন, “রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) লোকাল গুন্ডার মতো কথা বলেন। তিনি প্রকাশ্যে অপমান করেছেন ভারতের ও বিহারের গরিব মানুষদের, যারা নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিয়েছেন। এটা শুধু একজন নেতার প্রতি আক্রমণ নয়, গণতন্ত্রের উপর আঘাত।”
অন্যদিকে বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যও সরাসরি তোপ দাগেন রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, বিহারে ভোটের প্রচার শুরু করার আগেই রাহুল অপমান করেছেন “লোকবিশ্বাসের মহান উৎসব ছটী মাইয়া”-কে। তাঁর কথায়, “পুরনো ছবি দিয়ে আগে যেমন ছট মহাপর্বকে ব্যঙ্গ করা হয়েছিল, এখন রাহুল নিজে এসে সেই ভক্তি, আস্থা আর স্থানীয় উৎসবকে আঘাত করেছেন। কোটি কোটি ভক্তের ভাবনাকে অপমান করেছেন তিনি।” মালব্যের মতে, রাহুলের মন্তব্য “নিন্দনীয় ও অসম্মানজনক”।
তিনি আরও বলেন, দিল্লির বিজেপি সরকারের সময় থেকেই ছট পূজা আয়োজন হয় ঐশ্বর্য, ভক্তি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে। আগে অন্য সরকারগুলির সময়ে বিহারের মানুষদের যমুনার বিষাক্ত ফেনায় দাঁড়িয়ে পুজো করতে হত, কিন্তু মোদী সরকারের সময়ে ঘাটে ঘাটে সুব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ উৎসাহ আর শ্রদ্ধায় পুজো করতে পারেন।
মালব্যের দাবি, “রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) সনাতন ধর্মের বিরোধী, লোকউৎসবের বিরোধী এবং বিহারের সংস্কৃতির বিরোধী। তাঁর মন্তব্যে প্রমাণ, কংগ্রেস নেতারা দেশের মাটি ও সংস্কৃতির সঙ্গে কতটা বিচ্ছিন্ন।” তিনি দাবি করেন, রাহুলকে অবিলম্বে বিহার ছাড়ার আগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং মহাগঠবন্ধনের অন্যান্য নেতাদেরও রাহুলের বক্তব্যের নিন্দা করা উচিত বলে মত দেন মালব্য।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে রাহুল গান্ধির এই মন্তব্য বিজেপিকে বড় সুযোগ এনে দিয়েছে আক্রমণের। একদিকে ধর্মীয় বিশ্বাস ও লোকসংস্কৃতিকে অপমানের অভিযোগ, অন্যদিকে গরিব ভোটারদের অবমাননা— দুই মিলে বিহারের রাজনীতিতে নতুন সংঘাতের রেখা টেনেছে রাহুলের বক্তব্য।













