চিন ভারতের জমি দখল করেছে—এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই বিতর্কই গড়াল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার শীর্ষ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাহুল। যদিও আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Rahul Gandhi)।
২০২২ সালের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন যে, গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিন ভারতের প্রায় ২০০০ কিমি জমি দখল করে নিয়েছে এবং মোদী সরকার কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে। এমনকি তিনি আরও বলেন, অরুণাচল প্রদেশে চিনা সেনার হাতে মার খেয়েছে ভারতীয় ফৌজ। এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন উদয় শঙ্কর শ্রীবাস্তব নামের এক ব্যক্তি।
এই মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাহুলের (Rahul Gandhi) আবেদন খারিজ করে দেয় এবং সাফ জানায়—বাক স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, দেশের সেনার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাহুল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
সেই আবেদনের শুনানিতে আজ বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত প্রশ্ন ছুড়ে দেন—“আপনি কীভাবে বললেন চিন ভারতের জমি দখল করেছে? আপনি কি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন? আপনার কাছে কী এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে যা আপনাকে এমন মন্তব্য করার অধিকার দেয়? আপনি সংসদে এই প্রশ্ন তোলেন না কেন?”
রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, “যদি তিনি এমন কথাও বলতে না পারেন, তাহলে বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করবেন কীভাবে?” পাল্টা জবাবে বিচারপতির কড়া মন্তব্য—“তাহলে সংসদে গিয়ে বলুন, বাইরের মঞ্চে নয়।”
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে তাঁকে সতর্ক করা হলেও আপাতত মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি।