রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নাগরিকত্ব নিয়ে দায়ের হওয়া মামলাটি খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্র কবে এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে, তা স্পষ্ট নয় (Rahul Gandhi)। সেই কারণেই আদালত এই মামলাটি খারিজ করে দেয় (Rahul Gandhi)। যদিও বিচারপতিরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এই বিষয়ে নতুন করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আবেদনকারী ইচ্ছা করলে পারেন (Rahul Gandhi)।
বিজেপি নেতা ভিগ্নেশ শিশির এই মামলাটি দায়ের করে দাবি করেছিলেন, রাহুল গান্ধী ভারতের নাগরিক নন—এমন প্রমাণ তাঁর হাতে রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, তিনি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাহুলের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কিছু তথ্য পেয়েছেন। যদিও সব তথ্য গোপনীয়তার কারণে ব্রিটিশ সরকার দেয়নি। তাই সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত এবং কেন্দ্রীয় সরকারেরও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি জানান। কারণ, ভারতের আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিষিদ্ধ।
ভিগ্নেশ শিশির আরও বলেন, রাহুল যদি ব্রিটেনের নাগরিক হন, তাহলে তিনি ভারতের নির্বাচনে লড়তে পারেন না, এমনকি বিরোধী দলনেতার পদেও থাকতে পারেন না। মামলার শুনানির সময় কেন্দ্র আদালতকে জানায়, তারা ব্রিটিশ সরকারকে রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে এবং এর উত্তর পাওয়ার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। আদালত ৫ মে পর্যন্ত সময় দিলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্র কোনো উত্তর জমা দিতে পারেনি। তাই আদালত আবেদন খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী একই অভিযোগে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ব্রিটিশ সংস্থা Backops Limited-এ রাহুলের জমা দেওয়া বার্ষিক রিটার্ন নথিতে তিনি নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এমনকি ইংল্যান্ডে রাহুলের নামে থাকা একটি সংস্থার দলিলেও তাঁকে ‘ইংল্যান্ডের নাগরিক’ বলা হয়েছে।
তবে একাধিকবার বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীর বিদেশি নাগরিকত্ব প্রমাণের চেষ্টা করলেও কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে কখনও সরাসরি অবস্থান নেয়নি।