ওড়িশার পুরীতে (Puri) দুষ্কৃতীদের হাতে অগ্নিদগ্ধ ১৫ বছরের কিশোরী শেষরক্ষা পেল না। গত ২০ জুলাই থেকে দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (২ আগস্ট) তাঁর মৃত্যু হয়েছে (Puri)। হৃদয়বিদারক এই ঘটনার খবর জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
১৯ জুলাই পুরীর ভার্গবী নদীর তীরে ওই কিশোরীর উপর নৃশংস হামলা চালায় তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। অভিযোগ, তারা কিশোরীর (Puri) গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে পিপলি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করা হলেও, পরবর্তীতে তাঁকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হয় দিল্লির এইমসে।
একটানা কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা চিকিৎসার পরেও শেষমেশ আর বাঁচানো গেল না কিশোরীকে (Puri)। মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করে লেখেন, “বালানগার হৃদয়বিদারক ঘটনার শিকার কিশোরীর মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ওড়িশা সরকার এবং দিল্লির এইমসের মেডিক্যাল টিমের সমস্ত চেষ্টার পরেও তাঁর প্রাণ রক্ষা করা গেল না।”
কিশোরীর মৃত্যুর পর, রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট ঘিরে। ওড়িশা পুলিশের দাবি, তদন্তে কারোর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে, রিপোর্টে কোথাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি কীভাবে কিশোরীর গায়ে আগুন লাগল।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর কিশোরীর মা যে এফআইআর দায়ের করেছিলেন, তাতে অভিযোগ ছিল— বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এরপরেই তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, মৃত্যুর ঠিক আগের দিন, শুক্রবার, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর বিবৃতি রেকর্ড করেছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাঁর সেই শেষ বিবৃতিতে কী ছিল? আদৌ কি তা তদন্তের মোড় ঘোরাতে পারে?