সোমবার সকালে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে পুণের হিঞ্জেওয়াড়ি আইটি পার্কে (Pune)। মাত্র ২৩ বছর বয়সি এক তরুণ আইটি পেশাদার আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন অফিসের সপ্তম তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে। নাম পিয়ূষ অশোক কাওাড়ে। পেশায় তিনি একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং ‘অ্যাটলাস কপকো’-তে (Pune) গত এক বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অফিসে এক মিটিং চলাকালীন হঠাৎ তিনি বুকে ব্যথার কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন (Pune)। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যায় এক ভয়ানক ঘটনা—সবার অগোচরে তিনি সোজা উঠে যান ভবনের সপ্তম তলায় এবং সেখান থেকে নিচে ঝাঁপ দেন। সহকর্মীরা তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কী ঘটল এত দ্রুত (Pune)।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ছুটে আসে হিঞ্জেওয়াড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। সেখানে পিয়ূষ লিখেছেন, “জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ। আমাকে ক্ষমা করে দিও।” তাঁর বাবার উদ্দেশে এক আবেগঘন বার্তায় পিয়ূষ আরও লেখেন, “আমি তোমার সন্তান হওয়ার যোগ্য নই। এই কাজের জন্য আমি দুঃখিত।”
পুলিশ (Pune) সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়ূষ মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা ছিলেন। আত্মঘাতী চিঠিতে সরাসরি কোনও কাজের চাপ বা নির্দিষ্ট কারণের উল্লেখ না থাকলেও, গোটা ঘটনাকে ঘিরে তদন্ত চালাচ্ছে হিঞ্জেওয়াড়ি পুলিশ। সব সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর বালাজি পান্ড্রে।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি আইটি মহলে এবং তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।