প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি. দেবেগৌড়ার নাতি এবং জনতা দল (সেক্যুলার)-এর প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না (Prajwal Revanna ) অবশেষে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন। জনপ্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত মাত্র ১৪ মাসের শুনানির মধ্যেই রায় ঘোষণা করল। আগামীকাল, শনিবার শাস্তির মেয়াদ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেভান্না (Prajwal Revanna )।
মামলার সূত্রপাত হয় ২০২৪ সালের মাঝামাঝি, যখন রেভান্নার (Prajwal Revanna) বিরুদ্ধে একাধিক নারীর যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, নিজের বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন তিনি। অভিযোগে বলা হয়, তিনি নিগৃহীতাদের ভিডিও রেকর্ড করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন (Prajwal Revanna) । এই ঘটনার পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রেভান্না। পরপর দু’বার টিকিট কেটেও দেশে ফিরতে অস্বীকার করেন। তীব্র চাপে পড়ে অবশেষে তিনি (Prajwal Revanna) কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে ফিরলে সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে তিনজন মহিলা পুলিশকর্মী।
রেভান্নার (Prajwal Revanna) জামিনের আবেদন আগেই দু’বার খারিজ হয়ে যায়। কারণ মামলার অন্যতম ধারা ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা, যা সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগকে নির্দেশ করে এবং জামিনযোগ্য নয়। মামলার অন্যতম চাঞ্চল্যকর তথ্য ছিল, নির্যাতিতা একজন আদালতে একটি শাড়ি জমা দেন। ফরেনসিক পরীক্ষায় সেই শাড়িতে রেভান্নার বীর্যের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, যা মামলার মূল সাক্ষ্য হিসেবে গৃহীত হয়।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। মোট ২৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। মাত্র ৭ মাসেই বিচার শেষ করে আদালত রায় ঘোষণা করল এবং রেভান্নাকে দোষী সাব্যস্ত করল।
আগামীকালই জানা যাবে, এই অপরাধের জন্য ঠিক কত বছর সাজা ভোগ করতে হবে প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে।