বুধবার ব্রিটেন সফরে রওনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই সফর শুধু কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং ভারত-ব্রিটেন অর্থনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হতে চলেছে। আগামী ২৪ জুলাই, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সাক্ষর হতে চলেছে। এই মেগা ডিলকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে শিল্পমহলে (PM Modi)।
মঙ্গলবার এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে মন্ত্রিসভার (PM Modi) তরফে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদন। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ১২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেওয়া। এই বিশেষ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ২৩ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলা এই বিদেশ সফরে মোদি (PM Modi) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি, রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর।
এই সফরের মধ্যে দিয়ে শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কই নয়, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও দৃঢ় হচ্ছে দুই দেশের বন্ধন। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ব্রিটেনের বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন। ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তিতে সই হতে চলেছে এই সফরেই।
চুক্তির অধীনে ভারত থেকে চামড়া, জুতো, পোশাকের মতো বেশ কিছু পণ্যের রপ্তানির উপর থেকে কর প্রত্যাহার করা হবে। অন্যদিকে ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি ও গাড়ির উপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শুধু পণ্য নয়, এই চুক্তির আওতায় পরিষেবা, উদ্ভাবন, সরকারি ক্রয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের হাত ধরেই এই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিক সই হবে। পরে ব্রিটেনের সংসদে এই চুক্তি অনুমোদিত হলে তা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলে আসা আলোচনার শেষে অবশেষে চূড়ান্ত রূপ পেতে চলেছে এই বহুমাত্রিক বাণিজ্য চুক্তি। এই পদক্ষেপ দুই দেশের অর্থনীতিকে যেমন গতি দেবে, তেমনি কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এবং বাজারে প্রবেশাধিকারের দিক থেকেও উভয় পক্ষের জন্য খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দরজা।