সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীর মঞ্চ। জাতীয় একতা দিবস। আর সেখানেই ফের তীব্র রাজনৈতিক বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সাফ জানালেন, দেশের জাতীয় সুরক্ষাকে অতীতে অবহেলা করা হয়েছিল। কংগ্রেস আমলে দেশের নিরাপত্তা ছিল প্রশ্নের মুখে, এবং ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতেই সেই ঝুঁকি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজকের ভারত অন্য— শক্তিশালী, উত্তর দেয় চোখের জলে নয়, শক্তিতে (PM Modi)।
গত কয়েক বছর ধরে বারবার শোনা গেছে মোদির (PM Modi) ‘ঘরে ঢুকে মারা হবে’ মন্তব্য। ফের সেই সুরেই বললেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন গোটা দুনিয়া দেখেছে, কেউ আমাদের দিকে চোখ তুললে ভারত ঘরে ঢুকে জবাব দেয়। পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদীদের মাথারা এখন জানে ভারতের শক্তি কতটা।” তাঁর দাবি, পুরনো সরকারগুলি সর্দার প্যাটেলের আদর্শ ভুলে গিয়েছিল, আর দেশের একতাই তখন ভাঙনের মুখে পড়েছিল।
নকশালবাদ প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জানান, ২০১৪–র আগে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় নকশালদের দাপট ছিল। স্কুল-কলেজ পর্যন্ত উড়িয়ে দেওয়া হত, অথচ প্রশাসন ছিল “অসহায়”। তাঁর দাবি, “আমাদের পদক্ষেপের ফলেই আজ নকশালপ্রভাবিত জেলা ১২৫ থেকে নেমে এসেছে ১১–তে। সক্রিয় অঞ্চল এখন মাত্র তিনটি জেলায়।”
সাম্প্রতিক এসআইআর বিতর্ককেও এদিন এড়িয়ে গেলেন না মোদি। বিরোধীদের অভিযোগ— ভোটার তালিকা সংশোধনের আড়ালে এনআরসি–র মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পাল্টা সাফ বার্তা দিলেন, “বিদেশি অনুপ্রবেশ বছরের পর বছর ধরে দেশের জনবিন্যাস বদলে দিয়েছে। কংগ্রেস সরকাররা এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে ভোটব্যাঙ্কের জন্য জাতীয় সুরক্ষাকে বিপন্ন করেছে।” তাঁর অভিযোগ, আজও কেউ কেউ নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চাইছে।
একতা নগরের সভায় মোদির এই মন্তব্যে ফের উত্তাপ চড়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী শিবির বলছে, সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে বারবার একই ইস্যু তুলে ঘৃণার রাজনীতি করছেন মোদি। বিজেপি অবশ্য দাবি করছে, দেশের সুরক্ষা ও সীমান্ত রক্ষার প্রশ্নে আপস হবে না— এটাই আজকের ভারতের কথা, এবং মানুষও তা দেখছে।
জাতীয় একতা দিবসে তাই সমান জোরে শোনা গেল রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সুরও। একদিকে শক্তিশালী ভারতের বার্তা, অন্যদিকে বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ— এই বাকযুদ্ধেই আরও উত্তাল দেশীয় রাজনীতি।












