শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক টেলিফোনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানান। ফোনটি নেতানিয়াহু নিজেই করেছিলেন এবং এই কথোপকথনে ইরান-ইজরায়েল নতুন সংঘাতের বিষয়টি কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi) পরে টুইটে লেখেন, “আমি ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি এবং অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি।”
ভারত (PM Modi) ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে তারা “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন” এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দুই দেশকেই আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকে।

ইজরায়েলের (PM Modi) তরফে যখন আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের কূটনৈতিক চেষ্টা চলছে, তখন নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি, তবে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার তৈরি অস্ত্র হলো বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী অস্ত্র, আর এর অনেকগুলো ইজরায়েলের কাছেও রয়েছে। ইরানকে এখনই আলোচনার পথে আসতে হবে।”
শুক্রবার ইজরায়েল ইরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং সামরিক নেতাদের গোপন আস্তানা। এটিকে ইরানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাত বলা হচ্ছে ১৯৮০-র ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর থেকে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘নূর নিউজ’ জানিয়েছে, এই হামলায় শুধু তেহরানেই ৭৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
ইজরায়েল এই সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে “অপারেশন রাইজিং লায়ন”। নেতানিয়াহু এই অভিযানকে ইজরায়েলের ইতিহাসের এক ‘নির্ধারক মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেন, “আমরা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের হৃদয়ে আঘাত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, এই অভিযান চলবে দীর্ঘদিন ধরে এবং তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ থেকে স্থায়ীভাবে বিরত রাখাই এর উদ্দেশ্য।