ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার আবহে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) একটি জোরালো বার্তা দিলেন। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি ভাবলেই পাকিস্তানের ঘুম উড়ে যাবে। শুধু আজ নয়, বহুদিন ওরা রাতে ঘুমোতে পারবে না।’’
সাম্প্রতিককালে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর আত্মবিশ্বাস এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একইসঙ্গে তিনি (PM Modi) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ভারতের নিরাপত্তার সঙ্গে কেউ ছেলেখেলা করলে, তার ফল চরম হতে বাধ্য।’’
‘অপারেশন সিঁদুর’– সামরিক সাফল্য ও কূটনৈতিক বার্তা
গত সপ্তাহেই ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এই হামলা চালানো হয়। এই সফল অভিযানে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সেই কৃতিত্বের কথাই উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “আমাদের সেনারা শুধু সীমান্তে লড়ছে না, প্রযুক্তিতেও এখন বিশ্বের প্রথম সারিতে। ভারতের তৈরি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র এখন শুধু শত্রুর ঘাঁটি ভাঙে না, তাদের মনোবলও ভেঙে দেয়।”
পাকিস্তানের পাল্টা দাবি ও মোদীর জবাব
এই অভিযানের পর পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করেছে। যদিও সেটি ভিত্তিহীন বলে জানায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এই প্রেক্ষিতে মোদী বলেন, “পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যত খুশি গল্প বানানো হোক, সত্যি এই যে তাদের ড্রোন হামলা, মিসাইল হামলা সব ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের প্রত্যেকটি চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান এখন জানে, ভারত বদলে গিয়েছে। এখন আমরা শুধু হুঁশিয়ারি দিই না, প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতও করি। আমাদের সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে শত্রুদের কাঁপুনি ধরে যায়।”
সেনাদের ভূয়সী প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সাহস ও দক্ষতারও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “যাঁরা দেশের সুরক্ষায় দিনরাত সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের জন্য গোটা জাতি কৃতজ্ঞ। তাঁদের কারণেই আজ আমরা নিরাপদে ঘুমোতে পারি।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও বার্তা
প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতির ঠিক পরেই এমন মন্তব্যে মোদী জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানকে আর আগের মতো গুরুত্ব দেওয়া হবে না — ভারতের জবাব এখন তীক্ষ্ণ, এবং সরাসরি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একাংশের মতে, এই ভাষণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হলেও, সেনাবাহিনীর সাহস ও মনোবলের প্রতি জনগণের বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আত্মবিশ্বাসী ভারত, ব্যাকফুটে পাকিস্তান
ভারত এখন আর প্রতিক্রিয়াশীল নয় — সক্রিয়, প্রস্তুত এবং প্রযুক্তিনির্ভর। মোদীর বক্তব্যে উঠে এল সেই আত্মবিশ্বাস। পাকিস্তানকে একরকম প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন — এখন ভারতের কাছে চুপ থাকাই শত্রুদের পক্ষে সবচেয়ে নিরাপদ পথ।