এসআইআর আবহে মতুয়াগড়ে আগেই সভা ও মিছিল করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের জেরে মতুয়া সমাজের এক বড় অংশের মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে বিজেপি। সেই কারণেই সম্ভবত মতুয়া গড় থেকেই রাজ্যে ভোটপ্রচার শুরু করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২০ ডিসেম্বর রানাঘাটে সভা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। আপাতত রাজ্যে সাতটি সভা করবেন বলে ঠিক হয়েছে।
বুধবার সংসদে বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বৈঠকে তিনি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেউই ভোটার তালিকা সংশোধন হলেই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে— এমন কোনও আশ্বাস দেননি। বরং আত্মতুষ্টিতে না ভুগে মাঠে নেমে লড়াই করেই জয় ছিনিয়ে নিতে হবে বলে সাফ বার্তা দেন তাঁরা। তবে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, বাংলায় বিদেশিরা ভোট দিচ্ছে এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের পরে বহু ভুয়ো নাম বাদ যাবে। একমাত্র স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করাই এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য বলে সাংসদদের জানান তিনি।
বৈঠক শেষে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ব্যক্তিগত ভাবেও সাংসদদের খোঁজখবর রাখেন। প্রত্যেকের হাতে একটি করে খাম তুলে দেন তিনি। সেই খামে দলের কাজে সাংসদদের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন ছিল বলে সূত্রের খবর। বেশিরভাগ সাংসদের কাজ নিয়ে তিনি যে সন্তুষ্ট নন, তাও নাকি ওই রিপোর্ট কার্ডে স্পষ্ট ছিল। এক সাংসদ জানান, ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কোনও ইতিবাচক বার্তা দেননি প্রধানমন্ত্রী। ধর্ম দেখে নাম বাদ দেওয়া হবে— এমন ধারণাও তিনি নাকচ করেছেন। শুধুমাত্র স্বচ্ছ তালিকা তৈরি করাই লক্ষ্য বলে পরিষ্কার করেন মোদি (PM Modi)। সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার কথাও তিনি জানতে চান এবং সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে এসআইআর নিয়ে নালিশ জানাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আলাদা করে দেখা করেন অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে। রাতে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও।












