হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে অবশেষে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। শনিবার সকালে রাজধানী ইম্ফলে নামার পরেই তিনি সরাসরি চলে যান চুড়াচন্দপুরে। সেখানেই তিনি ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের কষ্টের গল্প শোনেন। শিশুদের হাত থেকে নেন আঁকা ছবি ও ফুলের তোড়া। এমনকি উপহার পাওয়া পালকের টুপিও পরে নেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।
মণিপুরে হিংসা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৩ মে। কুকি ও মেতেই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে রক্ত ঝরেছিল টানা কয়েক মাস ধরে। আজও সেই ক্ষত শুকোয়নি। এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। বিরোধীরা বহুবার দাবি করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী যেন রাজ্যে এসে নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখেন। অবশেষে সেই দাবিই পূরণ হল।
আজকের সফরে দুর্যোগও এড়াতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ইম্ফলে নামার সময়ই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। তার মধ্যেই সড়কপথে ৬৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে পৌঁছে যান চুড়াচন্দপুরের পিস গ্রাউন্ড ত্রাণ শিবিরে (PM Modi)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা।
চুড়াচন্দপুরই ছিল হিংসার অন্যতম কেন্দ্রস্থল। এখানকার বাসিন্দাদের বেশিরভাগই কুকি-জ়ু সম্প্রদায়ের। মেতেই সম্প্রদায়কে উপজাতি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যার জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়ায়। কুকিদের দাবি ছিল—মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে তারা থাকেন, সেটিকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সেই দাবি আজও অমীমাংসিত।
শুধু ঘরছাড়া মানুষের সঙ্গে দেখা করাই নয়, আজ চুড়াচন্দপুরে ১৪টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মহিলাদের হস্টেলসহ একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। মোট খরচ হবে প্রায় ৭৩০০ কোটি টাকা। এরপরে তিনি ফের ইম্ফলে গিয়ে গৃহহীন মানুষদের সঙ্গেও দেখা করবেন।