১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক ঐতিহাসিক প্রস্তাব গ্রহণ করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘোষিত সেই জরুরি অবস্থাকে ‘সংবিধানের হত্যা’ বলে আখ্যা দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এই উপলক্ষে এক মিনিট নয়, বরং দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয় — তাঁদের স্মৃতিতে, যাঁদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, যাঁদের ওপর চালানো হয়েছিল ভয়াবহ নিপীড়ন (PM Modi)।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ২০২৫ সাল ‘সংবিধান হত্যা দিবসের’ (Samvidhan Hatya Diwas) ৫০ বছর — সেই অন্ধকার অধ্যায়ে দেশের গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার বাতিল হয়েছিল, রাজ্যগুলির অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছিল এবং হাজার হাজার নাগরিককে বিনা বিচারে বন্দি করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন, আজকের প্রজন্মের কাছে সেই দুঃসময়ের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে অতীতের ভুল ভুলে গেলে চলবে না।
মোদী (PM Modi) আরও বলেন, ভারতের মানুষ এখনও সংবিধানের ওপর অটল বিশ্বাস রাখেন — সেই প্রতিশ্রুতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে আজকের এই মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে।
এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর (PM Modi) জরুরি অবস্থার সময়কার কর্মকাণ্ড নিয়ে লেখা একটি বইও প্রকাশিত হয় বুধবার — বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ারস দ্যাট ফোর্জড এ লিডার’। বইটি প্রকাশ করেছে ব্লুক্র্যাফট। বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে মোদী একজন তরুণ আরএসএস প্রচারক হিসেবে জরুরি অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মোদী বলেন, “যাঁরা সেই অন্ধকার সময়কে মনে রেখেছেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময়ে ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে নতুন প্রজন্ম গণতন্ত্রের গুরুত্ব বুঝতে পারবে এবং সেই সময়ের লজ্জাজনক ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে।”
তিনি লেখেন, “এমন সময় ছিল যেন কংগ্রেস সরকার পুরো গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিল।”