গত ১২ জুন আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) পরে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ছিল ৭০ তোলা সোনার গয়না, ৮০,০০০ টাকা নগদ, একাধিক পাসপোর্ট এবং একটি পুস্তক—ভগবত গীতা। এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো উদ্ধার করেন দুর্ঘটনাস্থলে (Plane Crash) প্রথম পৌঁছানো সাহসী মানুষদের একজন, ৫৬ বছর বয়সি রাজু প্যাটেল।
লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি প্রথমে বেজে মেডিক্যাল কলেজ সিভিল হাসপাতালের মেস বিল্ডিং-এ ধাক্কা মারে, এরপর আতুল্যম হোস্টেল-এর ওপর ভেঙে পড়ে (Plane Crash) , যেখানে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা থাকতেন। দুর্ঘটনায় এই দুটি ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রাজু প্যাটেল, যিনি একজন নির্মাণ ব্যবসায়ী, বলেন, “আমি দুর্ঘটনাস্থল (Plane Crash) থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে ছিলাম। ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের কাছে যেতেই পারিনি আগুনের কারণে (Plane Crash) । আমাদের কাছে স্ট্রেচার ছিল না, কিন্তু আমাদের দলের সাহস ছিল। আমরা শাড়ি, চাদর—যা ছিল তাই দিয়ে আহতদের তুলতে শুরু করি। তখন শুধু জানতাম—জীবন বাঁচাতেই হবে।”

তিনি আরও জানান, “ধ্বংসস্তূপে (Plane Crash) পোড়া ব্যাগ, ভাঙা জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আমরা ৭০ তোলা সোনার গয়না, ৮০ হাজার টাকা, বহু পাসপোর্ট ও একটি ভগবত গীতা উদ্ধার করি। এগুলো সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের হাতে তুলে দিই।” প্যাটেল ও তাঁর দল রাত ৯টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন। যখন দমকল ও ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তখন তাঁর দল ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করে।
রাজু প্যাটেল আরও জানান, ২০০৮ সালের আহমেদাবাদ সিরিয়াল বোমা হামলার সময়ও তিনি উদ্ধারকার্যে অংশ নিয়েছিলেন। “আমি তখনও সিভিল হাসপাতালের মাত্র ১০০ মিটার দূরে ছিলাম। কিন্তু এবারের দুর্ঘটনা… এই আগুন… এটা আমি জীবনে ভুলতে পারব না।” এই মানবিক সাহস ও আত্মত্যাগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজু প্যাটেল ও তাঁর টিমকে ‘সত্যিকারের নায়ক’ বলে প্রশংসা করা হচ্ছে। অনেক সামাজিক সংগঠন তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে জরুরি সেবায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি জানান, উদ্ধারকৃত প্রতিটি ব্যক্তিগত সামগ্রী নথিভুক্ত করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই তা নিহতদের পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “এরকম সময়ে নাগরিকদের ভূমিকা অমূল্য। রাজু প্যাটেলদের মতো মানুষরাই সমাজের সত্যিকারের ভিত্তি।”