গত সপ্তাহে আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) প্রায় ২৭০ জনের প্রাণহানির ঘটনা দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, সদ্য উড়ানের পর ভেঙে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। বিমানটিতে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারান। এছাড়া মাটিতে থাকা আরও ২৯ জন—including পাঁচজন এমবিবিএস ছাত্র—নিহত হন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Plane Crash) সময় অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। সেই মুহূর্তে বিএজে মেডিকেল কলেজের ক্যানটিনে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন ট্রেইনি ডাক্তার নবীন চৌধুরী (Plane Crash)। হঠাৎ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ তাঁকে চমকে দেয়। পেছনে ফিরে তিনি দেখেন, আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে ক্যানটিনে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি একটি জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেন।

মাটিতে নেমে এসে তিনি দেখেন—বিমানটির পেছনের (Plane Crash) অংশ তাঁদের কলেজ ভবনের গায়ে আটকে আছে, চারদিকে ধোঁয়া আর আগুন। তিনি বুঝে যান, সময় নষ্ট করলে চলবে না। নিজে বেঁচে যাওয়ার পর তিনি ছুটে যান হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে, যেখানে আহতদের ভর্তি করানো হচ্ছিল। “আমি নিরাপদ ছিলাম। কিন্তু অনেকেই জখম। ডাক্তার হিসেবে যদি কারও প্রাণ বাঁচাতে পারি, সেটাই আমার কর্তব্য,” বলেন নবীন।
মেডিকেল কলেজের (Plane Crash) আরেক ছাত্র, অক্ষয় জালা, বলেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। চারদিকে ধোঁয়া, ধুলো, কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। নিঃশ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে গিয়েছিল।” অক্ষয় আহত হলেও নিজে নিজের ক্ষত ধুয়ে ব্যান্ডেজ করেন এবং তারপর সোজা ট্রমা সেন্টারে চলে যান আহতদের চিকিৎসা করতে।
অনেকে বলছেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা না থাকলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত। আগুন ও ধ্বংসস্তূপ থেকে সহপাঠীদের উদ্ধার করতে তারা এগিয়ে আসেন ঝুঁকি নিয়ে।