Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ‘মিথ্যা প্রচার’, বলছে তুরস্ক! Air India দুর্ঘটনার দায়ে ঝড় উঠল কূটনৈতিক মহলে!
দেশ

‘মিথ্যা প্রচার’, বলছে তুরস্ক! Air India দুর্ঘটনার দায়ে ঝড় উঠল কূটনৈতিক মহলে!

plane crash a
Email :1

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) পর তুরস্কের একটি সংস্থার ওপর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে তুরস্ক সরকার এই দাবি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে, তুরস্কের “ডিরেক্টরেট অফ কমিউনিকেশনস – সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজইনফর্মেশন” জানিয়েছে, টার্কিশ টেকনিক নামের সংস্থাটি Air India-এর বিধ্বস্ত হওয়া বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের সাথে কোনওভাবেই যুক্ত ছিল না।

তুর্কি সরকার বলেছে, “আহমেদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল (Plane Crash) যে উক্ত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ টার্কিশ টেকনিক দ্বারা করা হয়েছে। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এটি তুরস্ক-ভারত সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হচ্ছে।”

তারা আরও জানিয়েছে, Air India ও Turkish Technic-এর মধ্যে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে যে চুক্তি হয়েছে তা শুধুমাত্র বোয়িং ৭৭৭-ধরনের বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রযোজ্য। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এই চুক্তির আওতাভুক্ত নয়। এখন পর্যন্ত টার্কিশ টেকনিক এমন কোনো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ করেনি।

plane crash hostel
বিধ্বস্ত বিমান

বিভাগটি আরও জানায়, “আমরা জানি কে শেষবার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ (Plane crash)  করেছে, কিন্তু এই মুহূর্তে সেই তথ্য প্রকাশ করাটা অনুচিত, কারণ এতে আরও গুজব ছড়াতে পারে।”

তারা জোর দিয়ে বলে, “তুরস্কের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর মর্যাদাকে যারা আন্তর্জাতিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই দুর্ঘটনার পেছনের আসল কারণ খুঁজে বের করার জন্য ভারতের এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার ২৮ ঘণ্টা পর ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত চলছে।

এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি  ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে, যখন লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া Air India Flight AI 171 আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই BJ মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ও ক্যানটিন কমপ্লেক্সে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থল আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় এবং হোস্টেলের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এই দুর্ঘটনায় ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং অলৌকিকভাবে একজন যাত্রী বেঁচে যান। মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts