আহমেদাবাদের বি.জে. মেডিকেল কলেজের হোস্টেল মেসে বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার না খাওয়াটাই জীবন বাঁচিয়ে দিল গোধরার একজন এমডি শিক্ষার্থী ডা. বৈশালী লালওয়ানিকে (Plane Crash)। সাধারণত প্রতিদিনই লাঞ্চ করতে যেতেন তিনি, কিন্তু ১২ জুনের সেই দিনে হঠাৎই লাঞ্চ মিস করেন—আর সেই ‘ভুলে যাওয়া’ সিদ্ধান্তটিই তাঁকে রক্ষা করল নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে।
লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ওই কলেজের হোস্টেল কমপ্লেক্সে ভয়াবহভাবে আছড়ে পড়েছিল (Plane Crash) দুপুরবেলা। এতে ২৭০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত বহু। এদের মধ্যে ছিল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
বৈশালীর বাবা, গোধরার ব্যাংকার সুরেশ লালওয়ানি জানিয়েছেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্কে কেঁপে উঠি। ওর প্রতিদিনের খাবারের জায়গাতেই বিমানটা ভেঙে পড়েছে শুনে আমরা ভয় পেয়ে যাই। বারবার ফোন করছিলাম। যখন ও ফোন ধরে, তখন যেন প্রাণ ফিরে পেলাম (Plane Crash)।”

দুর্ঘটনার (Plane Crash) পরে বৈশালী তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, “যে সীতা পাতনি প্রতিদিন চা আর জলখাবার দিতেন, তিনি ও তাঁর ছোট নাতি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।” এই খবর শুনে পরিবার আরও ব্যথিত হয়ে পড়ে।
বৈশালী অক্টোবর থেকে আহমেদাবাদে থেকে এমডি (মেডিসিন) কোর্স করছেন, NEET-PG-র মাধ্যমে ভর্তি হয়েছিলেন। বিমান দুর্ঘটনার জায়গাটি ছিল মেডিকেল কলেজের হোস্টেল এলাকার খুব কাছেই, যেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরে একসঙ্গে প্রায় ১০০ জন এমবিবিএস ছাত্রছাত্রী মেসে খাচ্ছিলেন।
অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (FAIMA) তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন এমবিবিএস ছাত্রছাত্রী, একজন পোস্টগ্র্যাজুয়েট রেসিডেন্ট চিকিৎসক এবং কলেজের এক সুপারস্পেশালিস্টের স্ত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬০-এরও বেশি মেডিকেল ছাত্র।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুধু শহরকেই না, গোটা দেশের চিকিৎসা মহলকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে।