বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদের বিএজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ভবনে বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান (Plane Crash)। ওই দুর্ঘটনায় কলেজের হোস্টেল ক্যান্টিনে রান্না করা শারলাবেন ঠাকোর এবং তাঁর দুই বছরের নাতনি আদ্যা এখনো নিখোঁজ (Plane Crash)।
শারলাবেন প্রতিদিন হোস্টেলে ডাক্তার ও ছাত্রদের জন্য গরম গরম রুটি, তরকারি এবং গুজরাটি খাবার রান্না করতেন (Plane Crash)। তাঁর ছেলে রবি সেই খাবার হোস্টেল ও হাসপাতালে পৌঁছে দিতেন। দুর্ঘটনার দিন, ১২ জুন, ঠিক আগের দিনের মতোই রবি দুপুর ১টায় খাবার নিয়ে বের হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়ঙ্কর খবর আসে—বিমানটি হোস্টেলের মেসে ধাক্কা মেরেছে। যে জায়গায় শারলাবেন বসেছিলেন, তা আগুনে ছাই হয়ে গিয়েছে (Plane Crash)।

বিমানটিতে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। উড্ডয়নের মাত্র ৩২ সেকেন্ড পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় কেবল একজন যাত্রী, ব্রিটিশ-ভারতীয় বিশ্বাসকুমার রমেশ বেঁচে গেছেন।
সিভিল হাসপাতালে চলছে দেহ শনাক্তের কাজ। মৃতদের পরিবার সদস্যদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে চিকিৎসক দল। রবি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মায়ের দেহ খুঁজে পাচ্ছেন না, একই সঙ্গে খুঁজছেন তাঁর ছোট্ট মেয়ের দেহও (Plane Crash)। তিনি নিজের ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন যাতে মেয়েকে শনাক্ত করা যায়। তাঁর বোন পায়েল ঠাকোর ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে মায়ের দেহ শনাক্তের জন্য।
কান্নাভেজা কণ্ঠে পায়েল (Plane Crash) বলেন, “আমার মা গিয়েছিলেন মেসে, আর ফিরে আসেননি। আমার ভাইঝিও তাঁর সঙ্গেই ছিল। আমরা একদিন ধরে খুঁজে চলেছি, কিন্তু এখনও কোনো খবর নেই।” তিনি আরও বলেন, “সবখানে খুঁজেও কিছু পাচ্ছি না। এখন বলা হচ্ছে, ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। আমরা কাকে জিজ্ঞেস করব, কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শত শত পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে আজ নিঃস্ব। শারলাবেন ও ছোট্ট আদ্যা-র ভাগ্য এখনও অজানা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মৃতদেহ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।