আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) প্রাণ হারানো যাত্রীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বদলে হুমকি ও মানসিক চাপে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সংস্থার তরফে মৃতদের পরিবারকে বলা হচ্ছে, দেওয়া প্রশ্নপত্রে সামান্য একটি ভুল থাকলেও তারা এক টাকাও ক্ষতিপূরণ পাবেন না (Plane Crash)।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ পরিবারগুলোর দাবি, তাদের বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে জোর করে (Plane Crash)। কে আর্থিকভাবে কার উপরে নির্ভরশীল, সেই তথ্যও দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার জেরে ক্ষতিপূরণের চাপ লাঘব করতেই এই ফাঁদ পাতছে এয়ার ইন্ডিয়া, এমনটাই অভিযোগ (Plane Crash)।
এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০টি মৃতের পরিবার এই অভিযোগ সামনে এনেছে (Plane Crash)। বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে যখন জানা যায়, ব্রিটেনের স্টেওয়ার্ড নামক এক নামী ল ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া দেখার জন্য। একইসঙ্গে, আহমেদাবাদের নানাভাই অ্যান্ড নানাভাই ফার্মও মামলাটি লড়ছে বোয়িং, এয়ার ইন্ডিয়া ও অন্যান্য দায়ী পক্ষের বিরুদ্ধে।
স্টেওয়ার্ড ফার্মের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় বাধ্য করা হচ্ছে একটি প্রশ্নপত্র পূরণ করতে, যার যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়া তো দূরের কথা, বরং বলা হচ্ছে ভুল হলে কোনও টাকা দেওয়া হবে না। এই মনোভাব ও চাপে পরিবারগুলোর মানসিক পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে।
তবে এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কোনও চাপ সৃষ্টি করছে না। বরং পরিবারগুলোর সঙ্গে নিহতদের সম্পর্ক যাচাই করতেই প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা এখন তদন্তসাপেক্ষ, তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর উপর এইভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হলে তা নিঃসন্দেহে অনৈতিক ও মানবিকতার পরিপন্থী।