আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত (Plane Crash) হল লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু মিলে বিমানে মোট ২৪৩ জন ছিলেন (Plane Crash), তাঁদের মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র একজন – বিশ্বাসকুমার রমেশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি সরদার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার মাত্র কয়েক মিনিট পরই শহরের মেঘানিনগর এলাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর সজোরে আছড়ে পড়ে (Plane Crash)। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা মোবাইলে তোলা ভিডিওতে বিমানের উচ্চতা হঠাৎ কমে যাওয়া ও ভয়ানক বিস্ফোরণের (Plane Crash) ছবি সামনে এসেছে।
দুর্ঘটনার পরপরই দমকল বাহিনীর সাতটি ইঞ্জিন ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ঘটনাস্থল (Plane Crash) পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি গুজরাট সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠকও করেন।

এখনও পর্যন্ত মাত্র পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে — এদের মধ্যে দুইজন গুজরাটের, দুইজন রাজস্থানের ও একজন মধ্যপ্রদেশের। মৃতদেহগুলি শনাক্ত করার জন্য আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ৭০-৮০ জন চিকিৎসকের একটি টিম নিয়োজিত রয়েছে।
ফ্লাইট AI171 লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও একজন কানাডীয় নাগরিক। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার।
এই দুর্ঘটনায় প্রাক্তন গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ফ্লাইটের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে এবং তা বিশ্লেষণের কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিমও রয়েছে।