শুক্রবার শিমলার আর্মি ট্রেনিং কমান্ড (ARTRAC) এর কাছে সেনাবাহিনীর ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুপ্তচরবৃত্তির (Pakistani SPY) অভিযোগে আটক করেছে।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে (Pakistani SPY) সেনাবাহিনী একাধিক জায়গায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও তার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেনা সংক্রান্ত গোপন তথ্য (Pakistani SPY) পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ২৮ মে থেকে হিমাচলের রাজধানী শিমলার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন এবং স্থানীয়দের থেকে সেনাবাহিনীর ব্যাপারে বারবার প্রশ্ন করছিলেন।
আরও জানা যায়, ওই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা এবং বর্তমানে মার্কিন নাগরিক।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত জানায়, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং তাঁর বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল।
তিনি আরও বলেন, তিনি ইতিমধ্যে ৬৪টি দেশ ভ্রমণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান (২০০৫ সালে) এবং চীন (২০০৮ সালে)।
শিমলার এসপি নিশ্চিত করেন যে, সেনাবাহিনী ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে একই সপ্তাহে কাংড়া জেলার দেহরা থেকে আরও একজন যুবককে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই যুবকের নাম অভিষেক। তাঁকে মাতা চিন্তপুরণী মন্দিরের কাছাকাছি এলাকা থেকে ধরা হয়।
এই ঘটনার পটভূমিতে উঠে এসেছে ভারতজুড়ে পাক গুপ্তচরচক্রের বিস্তার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ধরা পড়েছে, রাজস্থানের সিআরপিএফ কর্মী মোতিরাম জাট। কচ্ছ সীমান্তে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী সাহদেবসিংহ গোহিল। ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা, যিনি একাধিকবার পাকিস্তান গেছেন এবং সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জয়সলমিরে ধরা পড়েছে শাকুর খান নামের রাজ্য সরকার কর্মী, যিনি একজন প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর সহকারী ছিলেন এবং তার মোবাইলে পাকিস্তানি নম্বর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন। তার জবাবে ভারত ৭ ও ৮ মে-র রাতে চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যেখানে পাকিস্তানের একাধিক সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বর্তমানে চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। গুপ্তচর ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের কড়া পদক্ষেপ অব্যাহত।