Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Airstrike: সামরিক ঘাঁটি নয়, পাকিস্তানের স্নায়ুবিন্দুতে আঘাত, নূর খান ঘাঁটিতে ভারতের বিমান হামলার সময় উপস্থিত ছিল পাক প্রধানমন্ত্রী বিমান
দেশ

Airstrike: সামরিক ঘাঁটি নয়, পাকিস্তানের স্নায়ুবিন্দুতে আঘাত, নূর খান ঘাঁটিতে ভারতের বিমান হামলার সময় উপস্থিত ছিল পাক প্রধানমন্ত্রী বিমান

Email :1

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) ১০ মে-র হামলার (Airstrike) সময় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের পাশে অবস্থিত নূর খান এয়ারবেসে একটি গুরুত্বপূর্ণ VVIP বিমান অবস্থান করছিল (Airstrike)। এই বিমানটি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশমন্ত্রীর যাতায়াতে সাধারণত ব্যবহৃত হয় (Airstrike)।

ভারতের OSINT (Open-Source Investigation) টিম ও স্যাটেলাইট কোম্পানি Satellogic-এর বিশেষ উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

VVIP বিমানের উপস্থিতি এবং স্পষ্ট চিহ্ন
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, একটি সাদা রঙের Gulfstream G450 বিমান, যেটি সাধারণত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ব্যবহার করেন, সেটি নূর খান বেসে হামলার সময় উপস্থিত ছিল। এই বিমানটির দৈর্ঘ্য, টেইলের আকার এবং রিয়ার-এঙ্গিন ফরমেশন স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে এটি পাকিস্তানের VVIP বিমান। এটি পাকিস্তান আর্মির নীল রঙের টেইল মার্কিংযুক্ত Gulfstream থেকে ভিন্ন, যা সাধারণত সেনাপ্রধান আসিম মুনির ব্যবহার করেন।

বিমান চলাচল ও প্রধানমন্ত্রীর গতিবিধি মিলে যাচ্ছে
বিমান চলাচলের ডেটা দেখায়, ১২ মে তারিখে এই বিমানটি PAK02 কলসাইন ব্যবহার করে লাহোর থেকে সিয়ালকোট উড়ে যায়, যা তখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারি সফরের সঙ্গে মিল রেখেছে। এরপর, একই বিমান ১৪ মে PAK03 কলসাইন দিয়ে বেইজিং (চীন) যায় — বিদেশমন্ত্রীর সফরকাল অনুযায়ী। এই তথ্য নিশ্চিত করে যে উল্লিখিত বিমানটি শুধুই একান্ত রাষ্ট্রীয় ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ।

হামলার সময় আরও ২টি Gulfstream ছিল পাকিস্তানে
তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকার VVIP চলাচলের জন্য মোট তিনটি Gulfstream বিমান ব্যবহার করে। হামলার সময়, দুটি বিমান নূর খান বেসে এবং একটি লাহোরে অবস্থান করছিল। তবে উপগ্রহ চিত্রে হামলার পর শুধু একটিমাত্র বিমান দেখা গেছে নূর খান বেসে।

হামলার পরেও সামরিক তৎপরতা
Satellogic-এর চিত্রে আরও ধরা পড়ে যে, হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই Il-78 এয়ার রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার নূর খান বেসে উপস্থিত হয়। এই বিমানটি শত্রুপক্ষের সীমার মধ্যে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে যুদ্ধবিমানকে মাঝআকাশে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। এর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে পাকিস্তান হামলার পরও সক্রিয়ভাবে সামরিক অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছিল।

ভারতের নিশানা ছিল নিখুঁত ও সংযত
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ভারতের এই আক্রমণ ছিল অত্যন্ত নিখুঁত। উপগ্রহ চিত্রে কোথাও মিস ফায়ার বা ভুল টার্গেট করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারত যদিও নূর খান বেসে আঘাত করেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও পরমাণু অস্ত্র রক্ষা ইউনিটের অবস্থান ছিল। তবু ভারতের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা প্রদর্শন, উসকানি নয়।

পাকিস্তান তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, কারণ..?
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, এতটাই স্পর্শকাতর এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভারতের এই নিখুঁত হামলা পাকিস্তানের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
শীর্ষ নেতৃত্বের বিমান ও রিফুয়েলিং সরঞ্জাম অনাবৃত হয়ে পড়ায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় মাত্র চার দিনের মধ্যেই — ১০ মে-তেই।

ভারতের এই কৌশলী বার্তা ছিল স্পষ্ট: “আমরা পারি, তবে আমরা সংযত” এবং এই বার্তা পাকিস্তান নিঃসন্দেহে বুঝে গেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts